কৃষ্ণ সাগর দিয়ে ইউক্রেইনের শস্য রপ্তানির যে চুক্তি ভেস্তে গেছে তা নিয়ে আলোচনার জন্য ‘শিগগিরই’ রাশিয়া যাবেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
তুরস্কের ক্ষমতাসীন দল এ কে পার্টির একজন মুখপাত্র সোমবার এ কথা জানান।খবর ডেইলি সাবাহর।
ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রুশ বাহিনী প্রথমেই কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেইনের বন্দরগুলোর দখল নেয়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় সমুদ্র পথে দেশটির পণ্য রপ্তানি।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ খাদ্যশস্য ও ভোজ্যতেল রপ্তানিকারক দেশ ইউক্রেইন এবং দেশটির বেশিরভাগ পণ্য রপ্তানি হতো সমুদ্র পথে।
ইউক্রেইন থেকে খাদ্যপণ্য আসা বন্ধ হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তার প্রভাব পড়ে বিশ্ববাজারে। লাফিয়ে লাফিয়ে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালের বাইরে চলে যায় নিত্যপণ্যের দাম। সারা বিশ্বে দেখা দেয় তীব্র খাদ্য সংকট।
এ অবস্থায় জাতিসংঘ ও তুরস্কের উদ্যোগে গত বছরের শেষ ভাগে রাশিয়া ও ইউক্রেইনের মধ্যে কৃষ্ণ সাগর দিয়ে খাদ্যপণ্য রপ্তানির বিষয়ে একটি চুক্তি হয়। যে চুক্তিতে তুরস্কের নজরদারিতে ইউক্রেইন থেকে পণ্য রপ্তানি শুরু হয়।
কিন্তু গত মাসে রাশিয়া ওই চুক্তি প্রত্যাহার করে। ফলে আবারও ইউক্রেইন থেকে শস্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে।
আঙ্কারা রাশিয়াকে পুনরায় চুক্তিতে ফেরানোর চেষ্টা করছে। শস্য-রপ্তানি চুক্তি ভেঙে পড়ার পর রুশ বাহিনী ইউক্রেইনের বন্দরগুলোক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে। এমনকি, স্থলবন্দরগুলোতেও হামলা হচ্ছে।
এ কে পার্টির মুখপাত্র ওমর কেলিক সাংবাদিকদের বলেন, এরদোয়ান ‘শিগগিরই’ রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগরের রিসোর্ট সোচি পরিদর্শন করবেন। তবে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করবেন কিনা তা এখনো নিশ্চিত করেননি।
এর আগে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে গত শুক্রবার বলা হয়েছিল, শিগগিরই দুই নেতার সাক্ষাতের বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছানোর চেষ্টা হয়েছে।
সূত্রের নাম প্রকাশ না করে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে এরদোয়ান রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে পারেন।