ইনজুরির কারণে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গেছেন পেসার এবাদত হোসেন। তার বদলি হিসেবে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মিশনে এবাদত থাকছেন না, এটা সোমবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকেই অনেকটা নিশ্চিত ছিল। তবে অপেক্ষা করা হচ্ছিল মেডিকেল রিপোর্টের জন্য। মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়ার পরই জানা গেল ছয় জাতির এই টুর্নামেন্ট মাতানো হচ্ছে না এবাদতের।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সর্বশেষ সিরিজ চলাকালে ইনজুরিতে পড়েছিলেন এবাদত। বোলিংয়ের সময় বাঁ-হাঁটুতে চোট পান ডানহাতি এই পেসার। হাঁটুর সেই চোট কাটিয়ে এখনও পুরোপুরি সেরে উঠতে পারেননি তিনি।
আফগান সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে চলাকালে ইনিংসের ৪২তম ওভারের তৃতীয় বলটি করার সময় লাফ দিতে গিয়ে আম্পায়ার গাজী সোহেলের কাঁধে বাড়ি লাগে এবাদতের হাত। আর এমন ধাক্কা খেয়ে রান-আপে নিজেকে ঠিকঠাক থামাতে পারেননি। ফলে পেছন ঘুরে পড়ে যান মাটিতে, তখনই পায়ে আঘাত পান এবাদত।
এরপর তাকে ৪৮ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কিন্তু এই সময়ে চোট গুরুতর অনুধাবন করতে পেরে এই পেসারকে নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করেন ফিজিও। ধারণা করা হয়েছিল, এশিয়া কাপ দিয়ে আবারও মাঠে ফিরবেন তিনি। তাই আসন্ন এই আসরের স্কোয়াডেও রাখা হয়েছিল তাকে। তবে পুরোপুরি ফিট না হওয়ায় এই পেসারকে নিয়ে ঝুঁকি নিচ্ছে না টিম ম্যানেজমেন্ট।
এদিকে আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে খেলতে পারবেন কি না তা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। এমনকি অক্টোবর-নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপেও তাকে পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে সাম্প্রতিক ফর্ম আর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিবেচনায় তরুণ পেসার সাকিবকে বিকল্প হিসেবে আগে থেকেই এশিয়া কাপের অতিরিক্ত ৩ সদস্যের স্কোয়াডে রাখা হয়েছিল। এবার এবাদতের চোটে কপাল খুলছে যুব বিশ্বকাপজয়ী এই ক্রিকেটারের। ডানহাতি মিডিয়াম পেসের সঙ্গে লোয়ার মিডল-অর্ডারে ব্যাট হাতেও কার্যকর তিনি।
মূলত সদ্য সমাপ্ত ইমার্জিং এশিয়া কাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কারই পেতে যাচ্ছেন সাকিব। শ্রীলঙ্কার মাটিতে অনুষ্ঠিত এই আসরে বল হাতে রীতিমতো আগুন ঝরিয়েছেন তিনি। যেখানে ৩ ম্যাচে মাঠে নেমে শিকার করেছিলেন ৯ উইকেট। এর মধ্যে ওমানের বিপক্ষে ১৮ রানে পেয়েছিলেন ৪ উইকেট।
এখনও পর্যন্ত লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সব মিলিয়ে ৩৭টি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। যেখানে প্রায় ২৯ গড়ে শিকার করেছেন ৫৭ উইকেট। এই সময়ে তিনি বোলিং করেছেন ৫ দশমিক ৪৪ ইকোনোমিতে।