ঢাকার সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে প্রকাশ্যে এক ব্যক্তিকে প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে ৯ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দুর্বৃত্তরা ভুক্তভোগীকে চোখ বেঁধে মারধর করে সড়কের পাশে ফেলে রেখে যায় বলে দাবি করেছে পরিবার ।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগী মাদরাসা শিক্ষক হাবিবুর রহমানের ভাই মাহবুবুর রহমান এতথ্য জানান।
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সাভারের রাজাশন আইচা নোয়াদ্দা এলাকার শাখা সড়কে ঘটনাটি ঘটে। তিনি আইচা নোয়াদ্দা এলাকারই বাসিন্দা।
ভুক্তভোগীর ভাই মাহবুবুর রহমান জানান, গতকাল আমাদের একটি জমি রেজিস্ট্রি করার কথা ছিল। আমার বড় ভাই দুপুরে নবীনগর সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে ৯ লাখ টাকা তুলে বাসযোগে বাসায় ফিরছিলেন। সাভার বাস স্ট্যান্ডে নেমে একটি অটোরিকশায় আইচা নোয়াদ্দা বাসার দিকে রওনা করেন তিনি। অটোরিকশাটিতে আমার ভাই ছাড়াও আরো দুইজন যাত্রী ছিলেন। দুপুর আড়াইটার দিকে শাখা সড়কে পেছন থেকে একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকার এসে অটোরিকশাটির পথরোধ করে। এসময় প্রাইভেটকার থেকে দুজন ব্যক্তি বের হয়ে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমার ভাইকে অটোরিকশা থেকে নামতে বলেন। আমার ভাই নামতেই তাকে ধরে প্রাইভেটকারের ভেতর উঠিয়ে নেয় তারা। এরপর ভাইয়ের চোখ বেঁধে তার কাছে থাকা ৯ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় ডিবি পুলিশ পরিচয় দেওয়া দুর্বৃত্তরা। এসময় আমার ভাইকে মারধর করা হয়। এদের মধ্যে একজন আমার ভাইকে প্রাণে মেরে ফেলতে চায় এবং আরেকজন হাত-পা ভেঙে ফেলতে বলে। পরে ভাইয়াকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের বলিয়াপুর এলাকায় ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমার ভাইকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সুস্থ থাকলেও আমরা পরিবারের সবাই উদ্বিগ্ন। গতকাল রাতে সাভার মডেল থানায় মামলা করেছি আমরা। পুলিশ আমাদের আশ্বস্ত করেছে তারা দুর্বৃত্তদের আটক করতে অভিযান চালাচ্ছে।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, আমরা ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। এঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আমার সবকিছু পর্যালোচনা ও পর্যবেক্ষণ করছি। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।