তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আমাদের অকৃত্রিম বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র ভারতের চন্দ্রযান-৩ বিক্রম চাঁদে পৌঁছে গেছে। আর ভারতের আরেক প্রতিবেশী রাষ্ট্র (পাকিস্তান), যারা ৭০ বছর ধরে তাদের পতাকাতে চাঁদ নিয়ে আছে, কিন্তু যেতে পারেনি। চাঁদে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারেনি। আর ভারত তাদের স্বাধীনতার ৭০ বছরে চাঁদে চলে গিয়েছে। কারণ অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনা ভারতকে এতো দ্রুত জ্ঞান-বিজ্ঞান, অর্থনীতি ও প্রযুক্তিতে সারা বিশ্বে একটি শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে গেছে।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের হলরুমে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সিংড়া উপজেলা শাখা আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করার জন্য চারটি মূল স্তম্ভ সংরক্ষিত করেছিলেন। গণতন্ত্র, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, সামাজিক ন্যায়বিচারের স্বার্থে সমাজতন্ত্র ও ধর্ম নিরপেক্ষতা। অথচ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর খুনি জিয়াউর রহমান ধর্ম নিরপেক্ষতার স্তম্ভটিকে কেটে হত্যা করতে চেয়েছিল।
তিনি বলেন, পঁচাত্তরের পর থেকে ২১ বছর তারা অপপ্রচার চালিয়েছে- নৌকায় ভোট দিলে বাংলাদেশ ভারত হয়ে যাবে। নৌকায় ভোট দিলে মসজিদে আজানের ধ্বনি শোনা যাবে না। আর হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরীহ মানুষদেরকে অত্যাচার নির্যাতন করে তাদের বাড়িঘর জবরদখল করে তাদের দেশত্যাগে করতে যত ধরনের ষড়যন্ত্র-আক্রমণ আছে সব করেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিগত ১৫ বছরে দেশ দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে গেছে। কারণ জননেত্রী শেখ হাসিনা ধর্ম-বর্ণ, নারী-পুরুষ, শহর-গ্রাম নির্বিশেষে সকলের জন্য সমানভাবে রাষ্ট্রের সেবা উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু যেই অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল ধর্মনিরপেক্ষ সোনার বাংলা গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন, সেই অসমাপ্ত স্বপ্ন আমরা বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পূরণ করবো।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও নাটোর পৌরসভার মেয়র ঊমা চৌধুরী জলি, সাধারণ সম্পাদক প্রসাদ কুমার তালুকদার, সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা খাতুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ ওহিদুর রহমান, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নাটোর জেলা সভাপতি চিত্তরঞ্জন সাহা প্রমুখ।