সাভারের ভাকুর্তা এলাকায় খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে পরিবারের সবাইকে অজ্ঞান করে এক কিশোরীকে হাত-পা বেঁধে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) রাতে ওই কিশোরীর পরিবার থেকে থানায় মামলা করা হয়েছে। বুধবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা।
গত সোমবার (২১ আগস্ট) গভীর রাতে সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের লুটের চর এলাকায় জানালার গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন তিন ব্যক্তি।
ওই কিশোরীর ভাই জানান, পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তিন ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট ওই কিশোরী। বড় বোনের বিয়ে হওয়ায় তিনি স্বামীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি থাকেন। সোমবার রাতে বাবা-মা ও ছোট বোনসহ সবাই রাতের খাবার খাওয়ার পর ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে প্রতিবেশীরা তাকে ডেকে ঘুম ভাঙান। পরে বোনের কাছ শুনতে তিনি পান রাতে গ্রিল কেটে তিনজন ঘরে ঢুকে হাত-পা বেঁধে মুখে গামছা গুজে তাকে ধর্ষণ করেছে। সবাইকে ডাকলেও আওয়াজ বের হয়নি। ধর্ষণ শেষে নগদ টাকা ও বেশ কিছু স্বর্ণের অলংকার, দুটি মোবাইল নিয়ে গেছে ধর্ষণকারীরা। বর্তমানে ওই কিশোরীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে এবং বাবা-মাকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের বাসার পাশেই সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুল্লাহ আমাদের জমির বেশ কিছু অংশ দখল করে নিয়েছেন। এ ঘটনায় মামলাও করেছি। এরপর থেকেই আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত তারা। তারাই আমার বোনের সর্বনাশ করেছে। খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে সবাইকে অজ্ঞান করেছে বলে দাবি তার।
এ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুল্লাহ হাবীব বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে। জমি দখলের কোনো ঘটনা ঘটেনি। একাধিকবার জমি মেপে বিষয়টির সমাধানও করা হয়েছে। এখন অযথাই আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দিচ্ছে। আমি চাই বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত হোক।
ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ভাকুর্তা ইউনিয়নে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও মালামাল লুটের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।