রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া ঠেকাতে মাঠ কর্মকর্তাদের জন্য সতর্কতা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (২৮ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা ভোটার হচ্ছে বলে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তাদের ভোটার হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, কয়েক ধাপে ওখানে আবেদন যাচাই করা হয়। তবে, কোনো কোনো রোহিঙ্গা অন্য এলাকায় গিয়ে ভোটার হওয়ার চেষ্টা করছেন। এ ক্ষেত্রে আমাদের পক্ষ থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মো. আলমগীর বলেন, ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গাদের নাম অন্তর্ভুক্তি ঠেকাতে ২০১৯ সালে চট্টগ্রামের ৩২টি উপজেলাকে বিশেষ এলাকা ঘোষণা করা হয়। সেই মোতাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রধান করে বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটি প্রতিটি আবেদন পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই করে ইতিবাচক প্রতিবেদন দিলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ভোটার তালিকায় যুক্ত হতে পারছেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে ১০ লাখ রোহিঙ্গার আঙুলের ছাপ রয়েছে। কেউ ভোটার হতে চাইলে প্রথমেই সেখান থেকে যাচাই করা হয়। বিশেষ কমিটির প্রতিবেদনে যাদের নাম আসে তাদের তথ্যও সেখানে যাচাই করে ভোটার করা হচ্ছে। আমরা এ নিয়ে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছি। তাই, কোনোভাবেই রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার সুযোগ নেই।