বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২২ অপরাহ্ন

ভৈরব নদ থেকে চীনা প্রকৌশলীর মরদেহ উদ্ধার

আরব-বাংলা রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩ ৮:০৭ am

খুলনার নিউজপ্রিন্ট মিলের ভেতরে রূপসা ৮০০ মেগাওয়াট নির্মাণাধীন বিদ্যুৎ প্রকল্পের চীনা প্রকৌশলী ওয়াং সিয়াও খুইয়ের (৪৪) ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৬ আগস্ট) সকালে মহানগরীর খালিশপুর চরেরহাট ভৈরব নদ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তিনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সানডং সানলং সান হুই ইলেকট্রিক্যাল কোম্পানির ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।খালিশপুর থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর তদন্ত নিমাই মন্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, শনিবার সকাল ৯টার দিকে ভৈরব নদে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খালিশপুর থানা ও নৌ-পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।

চীনা প্রতিষ্ঠান সানডং সানলং সান হুই ইলেকট্রিক্যাল কোম্পানির দোভাষী তুহিন মিয়া বলেন, গত ২৪ আগস্ট সন্ধ্যায় চীনা প্রকৌশলী ওয়াং সিয়াও খুই চুল কাটার উদ্দেশ্যে বাইরে বের হন। সকালে আমাকে মোবাইল ফোনে জানানো হয় তিনি রাতে ফিরে আসেননি। এ বিষয়ে খালিশপুর থানায় একটি ডায়েরি করি। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। কিন্তু গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত তার সন্ধান মেলেনি। তাকে সর্বশেষ চলেরহাট ঘাট এলাকা দেখা গেছে। আজ সকালে আমরা কয়েকজন একটি নৌকা ভাড়া করে খোঁজা শুরু করি। ভৈরব নদের কিছুদূর যেতেই দেখি নদীতে ভাসছিল এক ব্যক্তির মরদেহ। পরবর্তীতে পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে দেখতে পাই তিনি প্রকৌশলী ওয়াং সিয়াও খুই। তিনি আমাদের প্রতিষ্ঠানের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। তিনি নিউজপ্রিন্ট অভ্যন্তরে নির্মানাধীন রুপসা ৮০০ মেগাওয়াট সিসি পিপি প্রকল্পে কাজ করতেন।

রুপসা ৮০০ মেগাওয়াট সিসি পিপি প্রকল্পে সেফটি অফিসার ও দোভাষী মো. আল আমিন বলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি প্রজেক্টের কাজে রয়েছেন। প্রায় সাত মাস ধরে তিনি কাজ করছেন এখানে। তিনি খুব ভালো একজন মানুষ। তার সঙ্গে কোনো শ্রমিক ও সহকর্মীর খারাপ সম্পর্ক ছিল না।

খুলনা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন বিশ্বাস বলেন, সংবাদ পেয়ে এখানে আমরা এসেছি। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি।

খুলনা পিবিআই’র এসপি সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, আমরা যতটুকু সংবাদ পেয়েছি তিনি একটি ইলেকট্রিক্যাল কোম্পানিতে চাকরি করতেন। কোম্পানি থেকে বের হওয়ার সুযোগ খুব কম ছিল। কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে এখানে দোভাষী আছে তার মাধ্যমে আনা হতো। দোভাষীর তথ্য মতে তিনি খুব শান্ত স্বভাবের ব্যক্তি ছিলেন। তিনি কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন। তার এভাবে মৃত্যু বা চলে যাওয়া কেউ মানতে পারছেন না।

তিনি বলেন, এটি কোনো নিছক দুর্ঘটনা নাকি কেউ এর সঙ্গে জড়িত আছে বিষয়টি এখনই বলা যাচ্ছে না। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। বিস্তারিত তদন্ত সাপেক্ষে জানাতে পারব।

শেয়ার করুন

আরো
© All rights reserved © arabbanglatv

Developer Design Host BD