এশিয়া বৃহৎ দেশ চীন তাদের নতুন ‘স্ট্যান্ডার্ড’ মানচিত্র প্রকাশ করেছে। সোমবার (২৮ আগস্ট) প্রকাশিত এ মানচিত্রে ভারতের অরুণাচল প্রদেশকে নিজেদের অংশ হিসেবে দেখিয়েছে বেইজিং।
অরুণাচল প্রদেশকে চীন দক্ষিণ তিব্বত নামে ডাকে। এছাড়া নতুন মানচিত্রে আকসাই চিনকেও তাদের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। যেটি ১৯৬২ সালের যুদ্ধে দখল করেছিল চীনা সেনারা।
তবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, চীনের নতুন এ মানচিত্রের কোনো মূল্য নেই এবং অন্য দেশের অংশকে নিজেদের অংশ হিসেবে দেখানো চীনের একটি ‘পুরোনো অভ্যাস।’
এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে মঙ্গলবার জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘চীন মানচিত্র প্রকাশ করেছে সেসব অঞ্চলসহ, যেগুলো তাদের নয়। এটি তাদের একটি পুরোনো অভ্যাস। ভারতের অংশ মানচিত্রে যোগ করা… এটির কোনো অর্থই নেই। আমাদের অঞ্চল কোনগুলো এ ব্যাপারে আমাদের সরকার খুবই পরিষ্কার। এ ধরনের অদ্ভুত দাবি অন্যদের অঞ্চল আপনার করে দেবে না।’
চীন শুধু ভারতের অরুণাচল প্রদেশ নয়— নতুন মানচিত্রে তাইওয়ান ও বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরের বিস্তৃত অঞ্চলকে নিজেদের অংশ হিসেবে দেখিয়েছে। যেসব অঞ্চল আবার নিজেদের দাবি করে থাকে ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া এবং ব্রুনাই।
চীনের সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, চীনের প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রণালয় জরিপ এবং ম্যাপিং প্রকাশ দিবসে নতুন মানচিত্রটি সামনে আনে।
গ্লোবাল টাইমস তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে মানচিত্রটির ছবি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, চীনের মানচিত্র অংকন পদ্ধতি, চীনের জাতীয় সীমান্ত এবং অন্যান্য দেশের সীমান্তের ওপর নির্ভর করে এ মানচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে।
এদিকে গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বল্পকালীন বৈঠক করেন। সেখানে অ্যাকচুয়াল লাইন অব কন্ট্রোল (এএলসি) নিয়ে কথা বলেন তারা। দুইজনই সম্মত হন এএলসি নিয়ে উত্তেজনা নিরসনে কাজ করবেন। ওই বৈঠকের পরই অরুণাচল প্রদেশকে নিজেদের অংশ হিসেবে দেখিয়েছে চীন।
গত বছরের ডিসেম্বরে অরুণাচল প্রদেশের লাদাঘে সংঘর্ষে জড়ায় ভারত ও চীনের সেনারা। ওই সময় নিজ সেনাদের সর্বোচ্চ সতর্কতাবস্থায় তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছিল নয়াদিল্লি।
সূত্র: এনডিটিভি