যেকোনো মহামারি শুরুর পর একটি নির্দিষ্ট গন্তব্যে গিয়ে শেষ হয়। তবে এ বছর ডেঙ্গুর গন্তব্য কোথায় গিয়ে থামবে সেটি স্পষ্ট বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রোববার (২০ আগস্ট) দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি, এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত শুরুর পর ৩০ সপ্তাহের মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের বেশির ভাগই ছিল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে। এরপরই ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত কমতে শুরু করেছে। তবে ৩১ থেকে ৩২ সপ্তাহে ঢাকার বাইরে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি পাওয়া গেছে। দেশে ডেঙ্গুর ৩৩তম সপ্তাহে এসে ঢাকার পাশাপাশি ঢাকার বাইরেও সংক্রমণ কিছুটা নিম্নমুখী। যার প্রভাবে রাজধানীসহ সারাদেশের হাসপাতালগুলোতেই রোগীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে।
ডা. মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ঢাকায় ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ২ হাজার ৬০০ এর বেশি ডেডিকেটেড শয্যা রয়েছে। এর বিপরীতে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে ১ হাজার ৯৭৪ জন। হিসাব অনুসারে এখনও বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ছয় শতাধিক ডেঙ্গু শয্যা ফাঁকা আছে। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপরই মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবস্থান।
এমআইএসের পরিচালক বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্তে পুরুষ ও মৃত্যুতে নারীরা এগিয়ে। গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গুতে ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নারীদের তুলনায় পুরুষরা বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে। ডেঙ্গুতে পুরুষদের আক্রান্তের হার ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ। আর নারীদের আক্রান্তের হার ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে, আশঙ্কার বিষয় হলো আক্রান্তে পুরুষরা এগিয়ে থাকলেও নারীদের মৃত্যু বেশি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ৪৬ জন নারীর বিপরীতে পুরুষ মারা গেছে ৩৩ জন।