এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মতে, চলতি অর্থবছর বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে আনুমানিক ৬ দশমিক শূন্য শতাংশ প্রবৃদ্ধির তুলনায় চলতি অর্থবছর এ অর্জন বেশি।
এমন পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। বুধবার ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং বলেছেন, সরকার বাহ্যিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার বিরুদ্ধে তুলনামূলক ভালোভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বিভিন্ন সংস্কারের অগ্রগতি করছে। এই মূল কাঠামোগত সংস্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে জনসাধারণের আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করা, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বৃদ্ধি করা, সরবরাহ চেইন উন্নতি করা এবং আর্থিক খাতকে আরও গভীর করার কাজ করছে। যা বেসরকারি খাতের উন্নয়নে, রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং মাঝারি মেয়াদে উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, অভ্যন্তরীণ নবায়নযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ সম্প্রসারিত করতে এবং দেশের জলবায়ু পরিবর্তন লক্ষ্য অর্জনে আরও কাজ করতে হবে।
প্রতিবেনে বলা হয়েছে, দ্রুত প্রবৃদ্ধির এ পূর্বাভাস ইউরো এলাকায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং ভালো রপ্তানি বৃদ্ধির কারণে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে মূল্যষ্ফীতি কার পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
এ ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৯ দশমিক শূন্য শতাংশ থেকে মূল্যষ্ফীতি কমে চলতি অর্থবছর ৬ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে যেতে পারে। রেমিট্যান্স বৃদ্ধির উন্নতি হওয়ায় চলতি অ্যাকাউন্টের ঘাটতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ থেকে সামান্য কমে শূন্য ৫ শতাংশ হতে পারে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দেশে বেশ কয়েকটি বড় সরকারি অবকাঠামো প্রকল্প সমাপ্ত হয়েছে। এগুলো বিনিয়োগ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। তবে দেশের মুদ্রানীতি কাঠামোর উন্নতির পর প্রাথমিক উচ্চ সুদের হারের কারণে বেসরকারি বিনিয়োগ কমতে পারে।
এডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে এডিবির ৫০ বছরের অংশীদারত্ব চলছে। এডিবি বাংলাদেশের জনগণের জন্য অবকাঠামো, জনসেবা এবং সামাজিক উন্নয়নের উন্নতির জন্য সহ-অর্থায়নের পাশাপাশি এখন পর্যন্ত ৫০ বিলিয়ন ঋণ ও অনুদান সংগ্রহ করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে এডিবির সার্বভৌম পোর্টফোলিওতে প্রায় ১৩ বিলিয়ন মূল্যের ৫৩টি প্রকল্প রয়েছে।