বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর ফরিদপুরের সদরপুরে রঙ্গ বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার পর মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখার ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী ও প্রধান আসামি ঘাতক স্বামী হাবুল বেপারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
সোমবার (১৪ আগস্ট) রাতে রাজধানীর তুরাগ থানার কামারপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, ফরিদপুরের সদরপুরে এক গৃহবধূকে হত্যার পর মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখেন ঘাতক স্বামী হাবুল বেপারী। এ ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী ও প্রধান আসামি হাবুল বেপারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার পিয়াজখালী গ্রামে স্ত্রীকে হত্যা করে বাথরুমের ট্যাংকির মধ্যে মরদেহ ফেলে পালিয়ে যান স্বামী। রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে বাড়ির পেছনে সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। উপজেলার বাছার ডাঙ্গী গ্রামের রাজন বাছারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ রঙ্গ বেগম (৩৫) উপজেলার পিয়াজখালী ইউনিয়নের বাছার ডাঙ্গী গ্রামের রাজন বাছারের মেয়ে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সাত বছর আগে আবুল বেপারীর সঙ্গে রঙ্গ বেগমের বিয়ে হয়। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। স্বামী আবুল তার শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েদের নিয়ে বসবাস করতেন। পারিবারিক কলহের জের ধরে শনিবার (১২ আগস্ট) রাতে রঙ্গ বেগমকে হত্যা করেন তার স্বামী। পরে গভীর রাতে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে ফেলে ঢাকনা লাগিয়ে পালিয়ে যান।
সকালে রঙ্গ বেগমের খোঁজ না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বাথরুমের ট্যাংকির ঢাকনা এলোমেলো দেখে সন্দেহ হয়। ঢাকনা সরালে মরদেহটি ভেসে থাকতে দেখা যায়। পরে সদরপুর থানা পুলিশে বিষয়টি অবহিত করলে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।