শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন

সেপ্টেম্বরের ১৪ দিনে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর রেকর্ড

আরব-বাংলা রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ৮:৫৭ am

সারাদেশে লাগামহীন ডেঙ্গু পরিস্থিতি। আক্রান্তের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ১৪ দিনে ডেঙ্গুতে যত মৃত্যু হয়েছে, দেশের ইতিহাসে কোনো মাসের দুই সপ্তাহে এত বেশি মানুষের মৃত্যু হয়নি। এখন পর্যন্ত গড়ে এ মাসে প্রতিদিন ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

চলতি মাসের প্রথম ১৪ দিনে এডিস মশাবাহিত এ রোগে মৃত্যু হয়েছে ১৮৫ জনের। গত আগস্ট মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে মারা গিয়েছিলেন ১৬৫ জন। তবে আগস্ট মাসে এ সময়ে রোগীর সংখ্যা এ মাসের চেয়ে সামান্য বেশি ছিল।

জুলাই মাসের শেষ দিক থেকে ঢাকার চেয়ে বাইরে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ঢাকার পাশাপাশি বাইরের জেলাগুলোতে মৃত্যুও বেড়ে গেছে।

সব শেষ গতকাল বৃহস্পতিবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৭৭৮ জনের মৃত্যু হলো।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল আটটা থেকে গতকাল সকাল আটটা পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে ঢাকায় ছয়জন ও ঢাকার বাইরে পাঁচজন মারা গেছেন।

এ সময় ডেঙ্গু নিয়ে ২ হাজার ৬৬৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৯০০ জন এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোয় ১ হাজার ৭৬৩ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান বলেন, ডেঙ্গু যে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, তা নিয়ন্ত্রণে বাড়তি কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। অনেক কিছুই প্রকৃতির ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মশা নিয়ন্ত্রণ। সেখানে কার্যকর উদ্যোগ দেখছি না।

এর আগে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছিল গত বছর-২৮১ জন। এ ছাড়া ডেঙ্গুতে ২০১৯ সালে মৃত্যু হয়েছিল ১৭৯ জনের। ২০২০ সালে ৭ জন এবং ২০২১ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয় ১০৫ জনের।

এবার মৃত্যুহার এত বেশি হওয়ার কারণ কী- জানতে চাইলে অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, এবারের ডেঙ্গু পরিস্থিতি সব বারের চেয়ে আলাদা। আগে যেমন জ্বরের পাশাপাশি গা ব্যথা, চোখ ব্যথা, রক্তা জমা বা র‌্যাশ—সেগুলো এবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে না।

যেটা অনুমান করা যাচ্ছে, আগামী দিনে আরও ভয়ংকর রূপে ডেঙ্গু আসবে। পাতলা পায়খানা, কাশির মতো লক্ষণ এবার যুক্ত হয়েছে। লক্ষণে পরিবর্তন হওয়ায় ডেঙ্গু বুঝে ওঠার ক্ষেত্রে দেরি হয়ে যাচ্ছে। আবার অনেকেই দ্বিতীয়বারের মতো আক্রান্ত হচ্ছেন। আগে যে ধরনে আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি নতুন ধরনে আক্রান্ত হলে স্বাভাবিকভাবেই ঝুঁকি বেড়ে যায়।

শেয়ার করুন

আরো
© All rights reserved © arabbanglatv

Developer Design Host BD