পর্যটক হয়রানি ও অপরাধ ঠেকাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসহ জেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের কার্যালয়ে পর্যটক হয়রানি রোধে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি আবুল কালাম সিদ্দিক এ তথ্য জানান।
তিনি আরও বলেন, সমুদ্র সৈকতসহ কক্সবাজার জেলার সব পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটক হয়রানি, অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণ, অপরাধীদের পাকড়াও এবং প্রকৃত অপরাধীকে আদালতে দোষী সাব্যস্ত করতে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে এখন ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয় প্রকৃত অপরাধীদের। এভাবেই খুব সহজে ও দ্রুত অপরাধীদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো সম্ভব হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর একটি ফুটেজ লাখো শব্দের অর্থ ফুটিয়ে তুলতে পারে। সে কারণেই পর্যটকদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আবুল কালাম সিদ্দিক বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া কোনো পর্যটক হোটেলে উঠতে পারবেন না। যদি ওঠেন হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সভায় কয়েকটি বিষয়ে তাদেরকে সতর্ক করে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনাগুলো হচ্ছে- হোটেলের প্রবেশ পথে সিসি ক্যামেরা স্থাপন। যেসব কটেজে অপরাধমূলক কাজ ঘটে তাদের মালিকদের বলে এসব বন্ধ করার ব্যবস্থা করা। দালাল দ্বারা যদি কোনো পর্যটক হয়রানি হয় তাহলে ওই হোটেলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পর্যটক সেবায় নিয়োজিত কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। পর্যটকদের এনআইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন কার্ডসহ পরিচয় রেজিস্ট্রার খাতায় এন্ট্রি করাতে হবে।
সভায় ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি বিধান ত্রিপুরা, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম, প্রেস ক্লাব সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর ইসলাম, কক্সবাজার হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।