নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছেন, কর্মশালায় অংশীজনদের নিয়ে আলোচনা থেকে প্রাপ্ত বিষয়গুলো সরকার, প্রশাসন, নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং নির্বাচন কমিশনের ওপর নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধের অবস্থানে কিছুটা হলেও চাপ সৃষ্টি করবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ কথা বলেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস আগে প্রথমবারের মতো এ ধরনের কর্মশালা আয়োজনে ভোটের প্রত্যাশা ও বাস্তবতায় ইসির অর্জন কী হলো? জানতে চাইলে আহসান হাবিব খান বলেন, লাভ বা উপকারিতার বিষয়টি আপেক্ষিক। ১০০ শতাংশ লাভ হয়ত হবে না। ১০ শতাংশ হলেও সেটি ইতিবাচক বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যাশা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা ও পর্যালোচনা সভা হয় বুধবার। এতে বিবদমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে এগিয়ে নেওয়ার কথাও উঠে এসেছে। সেইসঙ্গে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথে ইসির অগ্রগতির কথাও তুলে ধরা হয়। এ নির্বাচন কমিশনার জানান, এটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক ছিল না। এটি সম্পূর্ণ উন্মুক্ত ছিল।
এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য ছিল গণমাধ্যমের সহযোগিতায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কিত সূক্ষ্ম ও জটিল বিষয়গুলো খোলাখুলিভাবে পুরো জাতি তথা জনগণ, ভোটার সাধারণ, সরকার, প্রশাসন, পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনকেও অবহিত করে সচেতন করা। ফলে এ ধরনের উন্মুক্ত আলোচনা, কর্মশালা, সেমিনার বা মতবিনিময়ের ইতিবাচক দিক রয়েছে বলে আমি মনে করি।