দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিতব্য ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চলতি সপ্তাহে দেশটিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে এই দুই নেতার বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানিয়েছে। তবে পুরো বিষয়টি নিয়ে আজ শনিবার (১৯ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে নেতারা ২২-২৪ আগস্ট জোহানেসবার্গ সফর করবেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জোহানেসবার্গ সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কয়েকজন নেতার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। তবে কাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তা স্পষ্ট করেননি।
এছাড়া, সেপ্টেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনেও যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ৯-১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে ১৮তম জি-টোয়েন্টিভুক্ত রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্য দিয়ে মন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের মধ্যে চলতি বছরের জি-টোয়েন্টির সব কার্যক্রম ও বৈঠকের সমাপ্তি হবে। নয়াদিল্লি শীর্ষ সম্মেলনের সমাপ্তিতে জি-টোয়েন্টির নেতারা একটি ঘোষণা দেবেন। এতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রিপর্যায়ের ও ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের প্রধান আলোচিত বিষয় ও সেসব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর পর নেতাদের প্রতিশ্রুতিগুলো উল্লেখ করা হবে।
এর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছিলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য জোহানেসবার্গের চেয়ে নয়াদিল্লি ভালো হবে। ইতোমধ্যেই বৈঠকের বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ হচ্ছে। মোমেন বলেন, আফ্রিকা একটি উদীয়মান রাষ্ট্র ও বাংলাদেশ এই মহাদেশের দেশগুলোর সঙ্গে আরো শক্তিশালী সংযোগ স্থাপন করতে চায়। আফ্রিকান দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ততটা শক্তিশালী নয়। আমরা সেখানে দুটি মিশন খুলেছি। প্রধানমন্ত্রী তাদের নির্দেশনা দেবেন (বৃহত্তর প্রচেষ্টা করার জন্য)। ২০১৯ সালের পর প্রথম সশরীরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে চীন, রাশিয়া, ভারত, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকার জোট ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন। ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের পরে আয়োজিত একটি বিশেষ ইভেন্ট ‘ব্রিকস-আফ্রিকা আউটরিচ ও ব্রিকস প্লাস ডায়ালগ’-এ অংশ নেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এতে আমন্ত্রিত অন্যান্য দেশগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করবে দক্ষিণ আফ্রিকা।