বিদ্যমান গণনা পদ্ধতিতে দেশে বসবাসরত বিদেশি শিক্ষার্থী ও অভিবাসী শ্রমিকদের প্রকৃত সংখ্যায় ঘাটতি থেকে যাচ্ছে— এক অর্থনীতিবিদ এই দাবি করার পর শুমারি পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনছে কানাডার পরিসংখ্যান দপ্তর স্ট্যাটিকটিক্স কানাডা।
বুধবার স্ট্যাটিকটিক্স কানাডাকে দেওয়া এক চিঠিতে কানাডার অর্থনীতি ও ব্যাংকিং খাত বিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সিআইবিসি ক্যাপিটাল মার্কেটের অর্থনীতিবিদ বেঞ্জামিন তাল বলেন, কানাডায় গণনা পদ্ধতির ত্রুটির কারণে ১০ লাখেরও বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী-অভিবাসী গণনার বাইরে থেকে যাচ্ছে।
তিনি এই বার্তা দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শুমারি পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার ঘোষণা দিয়ে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে স্ট্যাটিকটিক্স কানাডা জানায়, বিদেশি শিক্ষার্থী ও অভিবাসী কর্মী সমর্কিত নতুন এবং বিস্তারিত তথ্য শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা নিয়মিত আমাদের গণনা পদ্ধতি এবং এই পদ্ধতিতে কাজের প্রাপ্ত ফলাফল মূল্যায়ন করি এবং আমরা মনে করছি, বিদেশি শ্রমিক ও অভিবাসী কর্মীদের সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য আমাদের প্রয়োজন।’
প্রসঙ্গত, কানাডায় দিন দিন আবাসন সংকট তীব্র হয়ে উঠছে; আর এই সংকটের জন্য প্রতি বছর বিভিন্ন দেশ থেকে স্রোতের মতো আসতে থাকা শিক্ষার্থী ও অভিবাসীদের দায়ী করেছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, প্রতি বছর কানাডায় আসা লাখ লাখ শিক্ষার্থী ও অভিবাসীদের কারণে আবাসনের চাহিদা হু হু করে বাড়ছে দেশটিতে, কিন্তু সেই অনুপাতে নতুন বাড়িঘর নির্মাণ করা হচ্ছে না।
কানাডায় বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নেতৃত্বাধীন লিবারেল পার্টির সরকার। আগামী অক্টোবরে দেশটিতে পার্লামেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে। বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির অভিযোগ, অভিবাসীদের আগমন নিয়ন্ত্রণে ট্রুডোর সরকার কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, কানাডার সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে এ বিষয়ক তর্ক-বিতর্ক তীব্র হয়ে উঠছে।
সূত্র : রয়টার্স