বাসযাত্রীদের নিরাপদে বাসে ওঠা-নামার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কাকলী বাস স্ট্যান্ডে একটি পাইলট প্রকল্প চালুর পর সেখানে বাস স্টপেজ ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ডিএমপি জানায়, ৪ সেপ্টেম্বর থেকে কাকলী বাস স্ট্যান্ডে (মহাখালী অভিমুখী) যাত্রীদের নিরাপদে বাসে ওঠা-নামার জন্য এই পাইলট প্রকল্প জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সহযোগিতায় ঢাকা ডিএমপি ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের (ডিআরএসপি) কারিগরি সহায়তায় বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের কার্যক্রম আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। এই পাইলট প্রকল্পের উদ্দেশ্য নিরাপদে বাস ব্যবহার করার জন্য বাসযাত্রী এবং চালকদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
পাইলট প্রকল্পটি বাস্তবায়নের আগে একটি সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়েছিল যেখানে ৯৩%-এরও বেশি বাসযাত্রী বলেছেন, বাস ব্যবহার নিরাপদ নয়। এই প্রকল্পটির উদ্দেশ্য বাস চালক ও বাসযাত্রীদের মানসিকতা এবং আচরণগত পরিবর্তন আনা।
ডিএমপি আরও জানায়, প্রকল্পটি শুরু হওয়ার পর থেকে দুই সপ্তাহে কিছু উন্নতি চিহ্নিত করা হয়েছে। বাসগুলো প্রথম দিন থেকেই বাস স্টপেজে যাত্রীদের ওঠা-নামার জন্য নিদিষ্ট স্থানে থামছে। বাসযাত্রীরাও যেখানে-সেখানে না দাঁড়িয়ে বাস স্টপেজে অপেক্ষা করেন। তবে এখনো সকল বাসযাত্রী এবং চালকদের ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়নি৷ এখনও কিছু চ্যালেঞ্জ পরিলক্ষিত হচ্ছে।
ডিএমপি জানায়, প্রকল্পটি বিভিন্ন সংস্থাকে তাদের একে অপরকে সহযোগিতা করার সুযোগও তৈরি করে দিয়েছে। বাস চালকদের উৎসাহিত করতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সড়কে ‘বাস স্টপ’ লেখা নির্দেশিকা দিয়েছে। মানুষকে সতর্ক করার জন্য সড়ক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পর্কিত সব সংস্থাকে একসাথে কাজ করতে হবে।
যদিও এই পাইলট প্রকল্পটি মাত্র চার সপ্তাহের জন্য বাস্তবায়িত হচ্ছে, তবে আশা করা হচ্ছে মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন হবে। বাস চালক এবং ব্যবহারকারী উভয়ই নিরাপদ সড়ক ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতে পারবে। একদিন এই ভালো অভ্যাস ঢাকাবাসীর অভ্যাসে পরিণত হবে এই প্রত্যাশায় ডিএমপি এই প্রকল্প অব্যাহত রাখতে চায়।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) আপনার মতামত জানতে dhaka.road.safety@gmail.com-এ মেইলে মতামত পাঠাতে অনুরোধ করা হচ্ছে।