নতুন করে আরও ১৬টি বর্ডার হাট চালুর পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ ও ভারত। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আরও বাড়াতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া নতুন এসব বর্ডার হাট বাংলাদেশের সঙ্গে মিজোরাম ও পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে স্থাপন করা হতে পারে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বুধবার (১৬ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম লাইভ মিন্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য নয়াদিল্লি এবং ঢাকা ১৬টি নতুন সীমান্ত হাট স্থাপনের কথা বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কূটনীতিক স্মিতা পন্ত।
স্মিতা পন্ত ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বাংলাদেশ, মিয়ানমার) হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। তার মতে, দুই দেশের মধ্যে বর্তমানে আটটি বর্ডার হাট চালু আছে এবং সেগুলো ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ের মতো উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ভারতীয় রাজ্যগুলোতে অবস্থিত।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং বাংলাদেশের মধ্যে কানেকটিভিটির বিষয়ে এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স নামে একটি থিংক ট্যাংকের আয়োজিত কনফারেন্সে কথা বলার সময় পন্ত এসব মন্তব্য করেন।
লাইভ মিন্ট বলছে, নতুন করে এসব সীমান্ত হাট প্রতিষ্ঠার বিষয়টি বর্তমানে (উভয় দেশের মধ্যে) আলোচনায় রয়েছে এবং সেগুলো মিজোরাম ও পশ্চিমবঙ্গে স্থাপন করা হবে। নতুন এই সীমান্ত হাটগুলো সীমান্তের উভয়পাশে অবৈধ বাণিজ্য হ্রাস করার পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত মানুষের জন্য বাজারে প্রবেশ এবং অর্থনৈতিক সুযোগ আরও উন্নত করতে পারে।
মূলত এই উদ্যোগ এমন সময়ে নেওয়া হলো যখন বাংলাদেশ এবং ভারত নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য প্রবাহ উন্নত করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, এই দুই দেশ জাপানের সহায়তায় ও অর্থায়নে বেশ কিছু উদ্যোগের মাধ্যমে সংযোগ আরও উন্নত করার জন্য অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশে মাতাবাড়ি বন্দর প্রতিষ্ঠা হলে ভারত থেকে বাংলাদেশে এবং পরবর্তীতে এশিয়ার বাজারে পণ্যের সহজ প্রবাহের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়া এই তিনটি দেশ ‘বে অব বেঙ্গল নর্থইস্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভ্যালু চেইন কনসেপ্ট’ নিয়েও একত্রে কাজ করছে। যার লক্ষ্য ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এবং বাংলাদেশে উৎপাদনকে আকৃষ্ট করা।
এর পাশাপাশি বিস্তৃত পরিসরের একটি অর্থনৈতিক চুক্তির জন্য নয়াদিল্লি ও ঢাকা আলোচনা করছে বলেও সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।