যুক্তরাষ্ট্রে তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাইয়ের সাম্প্রতিক সফরের প্রতিবাদে দেশটিকে ঘিরে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে চীন। বেইজিং জানিয়েছে, তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদী ফোর্সকে ‘কঠোর সতর্কতা’ দেওয়ার অংশ এই মহড়া।
শনিবারের (১৯ আগস্ট) এই মহড়ায় যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ ব্যবহার করেছে তারা। তাইওয়ান মহড়ার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, এরমাধ্যমে চীনের ‘সামরিক মানসিকতার’ বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। দেশটি জানিয়েছে, চীনের যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজের গতিবিধি নজরদারিতে রাখতে তারা যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাকে প্রস্তুত রেখেছে।
চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন কমান্ড, যেটি তাইওয়ান ও আশপাশের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত আছে, এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা তাইওয়ানের পাশে বিমান ও যুদ্ধজাহাজের মহড়া চালাচ্ছে।
বিবৃতিতে তারা আরও বলেছে, এই মহড়ার উদ্দেশ্য হলো— যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজের সমন্বয়ের মাধ্যমে আকাশ ও সমুদ্রের নিয়ন্ত্রণ কীভাবে দখল করা হবে সেটি পরীক্ষা করা।
ইস্টার্ন কমান্ডের একজন মুখপাত্র রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম শিনহুয়া নিউজকে বলেছেন, ‘এই টহল ও মহড়া তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতবাদী সেনা ও তাদের বিদেশি উপাদান এবং উস্কানির উদ্দেশ্য একটি কঠোর সতর্ক বার্তা হিসেবে কাজ করবে।’
আরেক রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, মহড়ায় ক্ষেপণাস্ত্রবাহী জাহাজ এবং যুদ্ধবিমান রয়েছে। যেগুলো তাইওয়ানকে কীভাবে ঘিরে ধরা হবে সেটির মহড়া দিচ্ছে।
এদিকে তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই মহড়ার তীব্র সমালোচনা করেছে। তারা বলেছে, এতে চীনের ৪২টি যুদ্ধবিমান ও আটটি যুদ্ধজাহাজ অংশ নিয়েছে। এরমধ্যে ২৬টি বিমান চীন-তাইওয়ানের মধ্যবর্তী মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে। এই মধ্যরেখাকে দুই দেশের অনানুষ্ঠানিক সীমান্ত হিসেবে ধরা হয়।
চীন তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে। তবে তাইওয়ানের দাবি তারা আলাদা ও স্বাধীন স্বতন্ত্র রাষ্ট্র। চীন অবশ্য কখনো তাইওয়ানকে শাসন করেনি বা এটি কখনোই বেইজিংয়ের অংশ ছিল না। তবে চীন হুমকি দিয়েছে, তাইওয়ানকে একটা সময় চীনের সঙ্গে একীভূত করা হবেই। আর এটি করতে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করা হবে।
সূত্র: আল জাজিরা