ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমতউল্লাহকে সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতির সিদ্ধান্ত বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সারোয়ার পায়েল।
অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন বলেন, রুল যথাযথ ঘোষণা করে হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন। তাই ড. মো. রহমতউল্লাহ একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন।
এর আগে, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতি ‘শ্রদ্ধা’ জানিয়ে বক্তব্য দেওয়ায় গত ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমতউল্লাহকে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতির সিদ্ধান্ত স্থগিতের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে হাইকোর্টে দ্রুত রুল শুনানির নির্দেশ দেন বিচারপতি মো. বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অধ্যাপক ড. মো. রহমতউল্লাহ মুজিবনগর সরকারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে খন্দকার মোশতাকের প্রতিও ‘শ্রদ্ধা’ জানান। এরপর খন্দকার মোশতাকের প্রতি ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেও বক্তব্য দেন।
অলোচনা শেষে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান শিক্ষক সমিতির সভাপতির বক্তব্যের বিতর্কিত অংশ এক্সপাঞ্জ করেন। পরে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন অধ্যাপক ড. মো. রহমতউল্লাহ। তিনি খন্দকার মোশতাকের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোয় ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
এ ঘটনার পর ২০ এপ্রিল অধ্যাপক ড. মো. রহমতউল্লাহকে সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হলে ৮ জুন অব্যাহতির সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে ঢাবি কর্তৃপক্ষ।