গণতন্ত্র, সুশাসন ও উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাধা তারেক রহমান বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১৭আগস্ট) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ছাত্রলীগ আয়োজিত এক পদযাত্রা ও সমাবেশে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ২০০৫ সালে সারাদেশে একযোগে জঙ্গিরা ৪৬৪ স্থানে ৫০০ বোমা হামলা করেছিল। সিরিয়া, আফগানিস্তান, ইরাক বিভিন্ন দেশে অনেক ঘটনা ঘটলেও এই বোমা হামলাটি পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র পরিকল্পিত ঘটনা যেখানে সরাসরি বিএনপি সরকারের ৮ জন মন্ত্রী ও সাংসদ জড়িত ছিল। বাংলা ভাইয়ের ছোট ভাই কুখ্যাত জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিলো র্যাব। কিন্তু তারেক রহমান র্যাবের চিফকে কল দিয়ে বলেছিলেন যেন তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সুতরাং বুঝা যায় তারেক রহমানের মদদে এই হামলা করা হয়েছিলো। তাই আমরা বলতে চাই, তারেক রহমানকে বাংলাদেশে রাজনীতি করতে দেওয়া দেশ ও তারুণ্যের জন্য নিরাপদ নয়।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বে ডেভেলপমেন্ট মিরাকল রাজনীতিবিদ। কীভাবে জঙ্গিবাদ, অগ্নিসন্ত্রাস নিরসন করতে হয় এবং সামাজিক সাংস্কৃতিক আন্দোলন পরিচালনা করে সমগ্র দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে হয় তার প্রামাণ্য দলিল শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অনতিবিলম্বে ১৭ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ও ২১ আগস্টের বোমা হামলার মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানকে দেশে এনে বিচারের আওতায় নিয়ে আসুন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা- লন্ডনের টিকিটের ব্যবস্থা করে দিবে তবুও আইনের শাসন বাস্তবায়ন করুন।
পদযাত্রা পরবর্তী সমাবেশে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিরা তাদের জবানবন্দিতে বলেছিলেন- জিয়াউর রহমান কীভাবে বঙ্গবন্ধু হত্যায় ভূমিকা রেখেছেন। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা নৈতিক আদর্শে বলীয়ান। আমাদের অদম্য শক্তির সঙ্গে রাজপথে না পেরে হামলার মাধ্যমে আমাদের দমন করার চেষ্টা করেছে।
ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ২০০৫ সালের ১৭ই আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায়। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছিলো। ১৯৭৫ সালে অসাম্প্রদায়িকতাকে হত্যা করে বিএনপির জন্ম হয়েছে। তারা নিজেদের স্লোগান হিসেবে ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ বলে। তার মানে বাংলাদেশ কী ২০০৫ সালের সিরিজ বোমা হামলায় ব্যাক করবে? নাকি ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় ব্যাক করবে?
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছি দেশের জনগণের করের টাকায়। দেশের মানুষের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমরা তাদের জন্য লড়াই সংগ্রাম করবো। কিন্তু যারা রাজাকারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তাদের পাকিস্তানে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
সমাবেশে ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজিমুদ্দিনের সঞ্চালনায় ও কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে পদযাত্রা ও সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের মহানগর উত্তর ও মহানগর দক্ষিণের নেতাকর্মীরা।
‘২০০৫ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা ও স্বাধীনতাবিরোধী- যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থন-আস্ফালনের’ প্রতিবাদে ছাত্রসমাজের এ পদযাত্রায় মহানগর উত্তর, মহানগর দক্ষিণ, ঢাবির বিভিন্ন হল শাখা ও ৭ কলেজের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।