বিমানবন্দরের পাশের এলাকা কাওলা থেকে তেজগাঁও-ফার্মগেট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আগামীকাল (২ সেপ্টেম্বর) উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই অংশের সড়ক পাড়ি দেওয়া এখন ১০ থেকে ১১ মিনিটের ব্যাপার বলে জানিয়েছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উদ্বোধনী সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠানস্থল ঘুরে দেখে তিনি এ কথা জানান।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘কাওলা থেকে ফার্মগেট-তেজগাঁও রেলস্টেশন পর্যন্ত ১০-১১ মিনিটে কাভার করবে। এখানে অনেক যাত্রী আসা যাওয়া করবেন। এর সুফল অবশ্যই পাবে রাজধানীবাসি। এর সঙ্গে যখন মতিঝিল পর্যন্ত উদ্বোধন হয়ে যাবে, তখন সুফল অনেক বেড়ে যাবে এবং ঢাকা আরও আধুনিক শহরে রূপ নেবে। যান চলাচল আরো একটু ইজি (সহজ) হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের ৬৫ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে। এখন যে অংশ উদ্বোধন হচ্ছে না, সেখানেও অনেক কাজ হয়ে গেছে। আমরা আশা করছি আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পুরোটা চালু করতে পারবো। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এয়ারপোর্ট থেকে ফার্মগেট, ফার্মগেট থেকে মগবাজার, মগবাজার থেকে কুতুবখালি পর্যন্ত গন্তব্য। পুরো অংশের দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। র্যাম্পসহ মোট ৪৬ কিলোমিটার।’
তিনি বলেন, ‘এখন দেশের মানুষ পদ্মাসেতুর সুফল যেমন পাচ্ছে, উত্তরা থেকে আগারগাও পর্যন্ত মেট্ররেলেরও যথেষ্ট সুফল পেতে শুরু করেছে। মেট্রোরেলের মতিঝিল পর্যন্ত প্রথম ট্রায়াল আমি উদ্বোধন করেছি। মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেট্রোরেল এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এই অংশ উদ্বোধন করার পর এর সুফল নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে। অল্প একটু পথ উত্তরা থেকে আগারগাঁ পর্যন্ত দুঘন্টার রাস্তা কিন্তু এখন মেট্রোরেলে ১০ মিনিট লাগে। এর সুফল মানুষ এখন পেতে শুরু করেছে। আর মতিঝিল পর্যন্ত যখন মেট্রো যাবে, এই সুফলটা আরও বেশি পাওয়া যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের টার্গেট ২০৩০ সালের মধ্যে ছয়টা মেট্রো চালু করা। আজকে ঢাকা শহরে যে যানজট পরিস্থিতি, সবকিছুর সমাধান বা সুফল এই মুহূর্তে পাওয়া যাবে না। তবে কিছুটা তো পাওয়া যাবে।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সেতু সচিব মো. মনজুর হোসেনসহ আরো অনেকে।