গ্রুপে কর্মী নেয়াকে কেন্দ্র করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু সাঈদ আল মাহমুদের কক্ষ ভাঙচুর ও তার অনুসারীকে মারধরের ঘটনায় তিনজনকে ছাত্রলীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ।
বুধবার (৩০ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক বারেক হোসাইন আপন স্বাক্ষরিত এক সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। এছাড়া, তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার উপযুক্ত কারণসহ লিখিত জবাব আগামী সাতদিনের মধ্যে ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়।
এর আগে বুধবার (৩০ আগস্ট) প্রথম প্রহরেই ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক বারেক হোসাইন আপন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই তিনজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।
বহিষ্কারকৃত তিনজন হলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক মো. ওবায়দুর রশিদ, সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক হাসিবুর রহমান তানভীর, সাবেক উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক রিফাদুল হাসান রাফি। তারা সবাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইরতিজা হাসান ফয়সালের অনুসারী এবং ইরতিজা হাসান ফয়সাল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের অনুসারী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে মো. ওবায়দুর রশিদ (সাবেক প্রচার সম্পাদক, ঢাকা মেডিকেল ছাত্রলীগ), হাসিবুর রহমান তানভীর (সাবেক উপ- প্রচার সম্পাদক, ঢাকা মেডিকেল ছাত্রলীগ), রিফাদুল হাসান রাফিকে (সাবেক উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক, ঢাকা মেডিকেল ছাত্রলীগ) ছাত্রলীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো, কেন পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবেনা তার উপযুক্ত কারণসহ লিখিত জবাব উল্লেখিত ব্যক্তিদের আগামী সাতদিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হলো।
এর আগে গত রবিবার (২৭ আগস্ট) রাত ১২টার সময়ে কর্মীকে নিজ গ্রুপে নেয়ার অভিযোগ এনে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু সাঈদ আল মাহমুদের কয়েকজন অনুসারীকে বেঢম মারধর ও ডা. ফজলে রাব্বি হলের ২০৩ নং কক্ষ ভাঙচুর করে সাধারণ সম্পাদক মো. ইরতিজা হাসান ফয়সালের অনুসারীরা। এতে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দুই গ্রুপের মধ্যে। ঢাকা মেডিকেল ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের বিবদমান উত্তেজনায় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার পর তিনজনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।