চলতি মাসেই উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উন রাশিয়া সফরে যেতে পারেন বলে মার্কিন গোয়েন্দা দপ্তরের খবর। তারই জেরে উত্তর কোরিয়াকে কড়া বার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বার্তা নয়, সরাসরি আক্রমণের হুমকি দিয়েছে হোয়াইট হাউস।
হোয়াইট হাউসবলেছে, উত্তর কোরিয়াকে আন্তর্জাতিক নীতি মেনে চলতে হবে। তারা কখনোই অন্য কোনো রাষ্ট্রকে অস্ত্র বেচতে পারে না। রাশিয়াকে অস্ত্র বেচার অর্থ নিরাপরাধ ইউক্রেনীয়দের হত্যায় শামিল হওয়া। উত্তর কোরিয়া একাজ করলে তাকে তার ফল ভুগতে হবে।
হোয়াইট হাউসের এনএসএ জেক সুলিভান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়া ইতিমধ্যেই বিশ্বের মঞ্চে কোণঠাসা। তাদের কার্যত কোনো বন্ধু নেই। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়াকে অস্ত্র বেচলে কঠিন দাম চোকাতে হবে। সুলিভানের কথায়, ‘আমরা যা খবর পেয়েছি, তাতে কিম জং উন মস্কো গিয়ে পুটিনের সঙ্গে দেখা করবেন বলেই জানা গেছে। একাজ করলে তার ফল ভালো হবে না।’
গতকাল মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাশিয়াও এবিষয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘এবিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।’ বস্তুত, ক্রেমলিনের বক্তব্য, কিমের আসার বিষয়ে তারা এখনো পর্যন্ত কোনো খবর পায়নি। তবে, খবরটিকে ভুয়া বলে উড়িয়েও দেয়নি তারা।
২০২০ সালে দেশের সীমান্ত সিল করে দিয়েছিলেন কিম। এরপর দেশে কাউকে ঢুকতেও দেননি, নিজেও অন্য কোনো দেশে যাননি। ফলে ২০২০ সালের পর এই প্রথম অন্য দেশে বৈঠক করতে যাবেন কিম। এর আগে ২০১৯ সালে প্রথমবার মস্কো গিয়ে পুটিনের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন কিম। তার দুই মাস আগে ট্রাম্পের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি ভেস্তে গেছে তার।