‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য দরকার নিরাপদ খাদ্য। নিরাপদ ও সুষম খাবার গ্রহণ না করার কারণে আমাদের দেশের ফুটবলাররা ৯০ মিনিট খেলতে পারে না, কিন্তু অন্যান্য দেশের খেলোয়াড়রা ঠিকই ১২০ মিনিটও খেলতে পারে। তাই খাবারটা যেমন নিরাপদ হতে হবে, তেমনি খাবারের আগে ও পরে নিরাপদতা রক্ষা করতে হবে। এতে করে আজকের দিনের শিশুরা আগামী দিনের নেতা হিসেবে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় পরিণত করতে পারবে।’
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) উদ্যোগে ও মাস্তুল ফাউন্ডেশনের সহায়তায় রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় মাস্তুল স্কুলে আয়োজিত হাত ধোয়া ও এতিমদের মধ্যে নিরাপদ খাবার বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএফএসএ চেয়ারম্যান আব্দুল কাইউম সরকার এসব কথা বলেন।
স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে মেধা ও স্বাস্থ্যের বিকাশের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বিএফএসএ চেয়ারম্যান বলেন, মেধা ও স্বাস্থ্যের বিকাশ ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ সম্ভব হবে না। তাই তিনি সবাইকে নিজ নিজ উদ্যোগে নিজেদের খাবারটা নিরাপদ রাখার ওপর জোর দেন ও জাতির জনকের আত্মার মাগফেরাতের জন্য দোয়া করার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাস্তুল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক কাজী রিয়াজ রহমান। মাস্তুল ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও বর্তমান কার্যকলাপ সম্পর্কে তুলে ধরেন। এসময় তিনি সরকারের সব মন্ত্রণালয় ও সংস্থা থেকে এমন মানবিক কাজের উদ্যোগ প্রত্যাশা করেন যাতে সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুর বাংলাকে স্বপ্নের সোনার বাংলায় রূপান্তর করা যায়।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মাস্তুল ফাউন্ডেশনের প্ল্যানিং ও ডেভেলপমেন্টের প্রধান ফারহানা ইয়াসমিন। তিনি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
মাস্তুল স্কুল, মাস্তুল মাদ্রাসা, মাস্তুল ফাউন্ডেশন পরিচালিত এতিমখানা ও আশেপাশের বস্তি থেকে আগত ৩০০ জন শিশুকে নিরাপদ খাবার পরিবেশন করা হয়। বিএফএসএ চেয়ারম্যান উপস্থিত শিশুদের মধ্যে খাবার বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
হাত ধোয়া কর্মসূচি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের একটি সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংস্থাটি সচেতনতা বাড়াতে হাত ধোয়া কর্মসূচির আয়োজন করে যাচ্ছে। মাস্তুল স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাত ধোয়ার ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ দেন বিএফএসএ কর্মকর্তা ইমরান হোসেন মোল্লা, মেহরীন যারিন তাসনিম ও রৌশন আরা বেগম প্রমুখ।