প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের জোট সঙ্গী ১২ দলের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (১২ নভেম্বর) তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। তার পক্ষে অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালত রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
আদালতে রমনা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন ফকির বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে শনিবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে ডিআরইউর নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সেখানে যোগ দিতে সেগুনবাগিচায় যান এহসানুল হুদা। বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সামনে থেকে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে তুলে নিয়ে যায় বলে জানান বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহদাত হোসেন সেলিম।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, বাস ভাঙচুরের অভিযোগে রমনা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে। মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
ফখরুল-আব্বাস ছাড়াও এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।