হত্যাচেষ্টার হামলা চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নিরাপদ ও অক্ষত আছেন। ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের ওপর এই হামলার কথা জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই। অন্যদিকে, রিপাবলিকান দলের নির্বাচনি কর্মকর্তারা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোও জানিয়েছে তিনি সুস্থ আছেন। খবর এএফপির।
যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট সার্ভিস নিশ্চিত করেছে যে, তাদের এক বা একাধিক এজেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গলফ খেলার মাঠের সীমানা প্রাচীরের কাছে একজন বন্দুকধারীর ওপর গুলিবর্ষণ করেছে। এছাড়া গো-প্রো ভিডিও ক্যামেরাসহ একটি একে-৪৭ সদৃশ রাইফেল জব্দের কথাও তারা জানায়।
সিক্রেট সার্ভিসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে গোলাগুলির মধ্যেই ওই লোকটি যে ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে ছিল সেখান থেকে বেরিয়ে আসে এবং একটি কালো গাড়িতে করে পালিয়ে যায়। একজন প্রত্যক্ষদর্শী গাড়িটি শনাক্ত করতে সহায়তা করেন এবং কর্তৃপক্ষ সেটিকে অনুসরণ করতে থাকে।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে পাম বিচ কাউন্টির শেরিফ রিক ব্রাডশ জানান, তারা সন্দেহভাজক হিসেবে একব্যক্তিকে আটক করেছে।
ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচের এই গলফ কোর্সটি ট্রাম্পের আবাসস্থল মার-আ-লাগো প্রাসাদ থেকে বেশি দূরে নয়। ব্রাডশ জানান, গলফ কোর্সে সাবেক প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে মাত্র এক হোল দূরে থাকা ওই বন্দুকধারীকে একটি ঝোপের মধ্যে শনাক্ত করে নিরাপত্তা সংস্থার লোকজন।
এ প্রসঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারণা শিবিরের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং এক বিবৃতিতে বলেন, ‘গুলির আওতার মধ্যে থাকলেও সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন নিরাপদে আছেন।’
ডেমোক্রেট দলের মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এ ঘটনার পর তার নির্বাচনি প্রতিপক্ষ নিরাপদে আছেন জেনে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
এদিকে, ঘটনার পর একটি তহবিল সংগ্রহের ওয়েবসাইটে ট্রাম্প লেখেন, ‘ভয় নেই! আমি নিরাপদ ও ভালো আছি এবং কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হয়নি। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।’
গতকাল রোববার (১৫ সেপেন্টম্বর) ঘটনা ঘটার পর এক সংবাদ সম্মেলনে কর্তৃপক্ষ জানায় তারা এখনো নিশ্চিত নন যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে কিনা। তবে সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা গুলিবর্ষণ করেছে। সিক্রেট সার্ভিসের কর্মকর্তা রাফায়েল ব্যারোস এ বিষয়ে বলেন ‘আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি যে ওই ব্যক্তি গুলি করতে পেরেছিল কিনা।’
এফবিআই জানিয়েছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর সম্ভাব্য হামলার ঘটনার বিষয়টি নিয়ে তারা তদন্ত করছে।
কর্মকর্তারা যদিও সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টদের তৎপরতার প্রশংসা করছেন তবে উদ্বেগের বিষয় হলো কয়েক মাসের ব্যবধানে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প হামলার লক্ষ্যবস্তু হলেন। এর আগে গত ১৩ জুলাই সাবেক এই প্রেসিডেন্ট পেনসিলভানিয়ার বাটলার শহরে আততায়ীর হামলায় কানে গুলিবিদ্ধ হন।