ভারতের উত্তরপ্রদেশে ভবনধসের ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৯ জনই একই পরিবারের সদস্য। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।
এছাড়া উদ্ধারকাজ এখনও চলছে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে কয়েকজন আটকে থাকে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শনিবার বিকেলে ভবনধস ও হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই এবং সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
রোববার একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশের মিরাটে ভবন ধসে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আহত আরও পাঁচজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ভবনধসের পর ঘটনাস্থলটি সিল করে দেওয়া হয়েছে, তবে ‘ধ্বংসাবশেষে কোনও জীবিত মানুষ যেন আটকে না থাকেন’ তা নিশ্চিত করতে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পাঁচজন আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, এবং উদ্ধারকৃত মৃতদেহ ময়নাতদন্তসহ আরও মেডিকেল প্রক্রিয়ার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তার মতে, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরাট শহরের জাকির কলোনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে পৃথক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, শনিবার উত্তরপ্রদেশের মিরাটে একটি তিনতলা বাড়ি ধসে একই পরিবারের অন্তত নয়জন সদস্য নিহত এবং চারজন আটকা পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিকেল সোয়া ৫টার দিকে জাকির নগর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
উদ্ধার কাজের জন্য জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ফায়ার ব্রিগেড এবং পুলিশের দল তৎপরতা চালাচ্ছে। কর্মকর্তাদের মতে, ভবনের মালিক সেখানে একটি ডেইরি চালাতেন এবং দুই ডজনেরও বেশি মহিষও সেখানে আটকে পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভবনটিতে প্রাথমিকভাবে ১৫ জন আটকা পড়েছিল, যাদের মধ্যে ১১ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাদের মধ্যে ৯ জন মারা যায়। নিহতরা হলেন- সাজিদ (৪০), তার মেয়ে সানিয়া (১৫), ছেলে সাকিব (১১), সিমরা (দেড় বছর), রিজা (৭), নাফো (৬৩), ফারহানা (২০), আলিসা (১৮) এবং আলিয়া (৬)।
মিরাট জোনের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডি কে ঠাকুর, বিভাগীয় কমিশনার সেলভা কুমারী জে, পুলিশের মহাপরিদর্শক নচিকেতা ঝা এবং সিনিয়র পুলিশ সুপার ভিপিন টাডাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উদ্ধার অভিযান পর্যবেক্ষণ করতে ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
মিরাটের ডিএম দীপক মীনা এএনআই-কে বলেছেন, ‘বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ মিরাটের জাকির কলোনি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। হতাহতদের পরিবার এবং আত্মীয়রা জানিয়েছেন, বাড়ির ধ্বংসাবশেষের মধ্যে ১৫ জন আটকা পড়েছেন। ১৫ জনকেই উদ্ধার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’