বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৪ অপরাহ্ন

সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সেতু ভবনে আগুন-লুটপাটে জড়িতদের ধরা হচ্ছে

আরব-বাংলা রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪ ২:০০ pm

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ঢাকা মহানগরীতে সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর, সহিংসতা ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড হয়েছে। এসব ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, আমাদের হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজে কে কীভাবে আগুন লাগায় এবং মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় জড়িত অনেকের নামপরিচয় পাওয়া গেছে। সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে।

মহাখালী সেতু ভবনে ঢুকে লুটপাটকারী দুজনকে গ্রেপ্তারসহ ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তারের পর একথা বলেন তিনি।

গ্রেপ্তার দুই মালামাল লুটপাটকারী হলেন, জজ মিয়া, মো. রাকিব (২২)। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দিবাগত রাতে মহাখালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ জুলাই) হারুন অর রশীদ নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আন্দোলনের নামে ঢাকা শহরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট করা হয়েছে। মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা ও আহত করেছে। তথ্য প্রযুক্তি ডাটা সেন্টারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালায়। হামলার রসদ সরবরাহ করার তথ্য প্রমাণ আমাদের হাতে আছে।

মহাখালীর সেতু ভবনে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির কিছু নেতা টাকা পয়সা দিয়ে সাততলা বস্তি এবং কুড়ি বস্তিসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন সংগ্রহ করেছে। এরপর মহাখালীতে জড়ো হয়ে ইটপাটকেল শুরু করে। পরবর্তী সময়ে তারা সেতু ভবনে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং লুটপাট চালায়।

আমাদের হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, তারা কীভাবে আগুন লাগায় এবং মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় জড়িত অনেকের নামপরিচয় পেয়েছি।

হারুন বলেন, গ্রেপ্তার দুজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাত বিএনপি ও জামায়াত নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তারা হলেন, ঢাকা উত্তর যুবদলের সাবেক সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর, বিএনপি নেতা বরকতুল্লা বুলুর ছেলে সানিয়াত বুলু, মহানগর দক্ষিণ বিএনপিসহ সভাপতি মোশারফ হোসেন খোকন ওরফে কাইল্লা খোকন, কৃষক দলের সহ সভাপতি নাসির উদ্দিন, ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান দয়াল, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা এস এম কামাল উদ্দিন ও ভাটারা থানার আমির রেজাউল করিম।

জামায়াত-বিএনপি সরকারি স্থাপনাকে কেনো টার্গেট করছে জানতে চাইলে হারুন বলেন, ঢাকা বিশ্বববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলছে। পুলিশকে হত্যা, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, ডাটা সেন্টার, বিটিভি, আমাদের গর্বের মেট্রোরেলে হামলা করেছে। সব জায়গায় গান পাউডার দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। তারা ৭১ সালের মতো পুরোনো দিনে ফিরে গেছে। তারা চেয়েছিলো সরকার উৎখাত করতে। দেশে কোটা আন্দোলন চলছে আর তারা ঢাকার বর্ডার এলাকায় রেখে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করেছে। আমরা সবার নামপরিচয় পেয়েছি। তারা কীভাবে কার মাধ্যমে গান পাউডার ও অস্ত্র এনেছে বের করা হবে।

তারা পুলিশ মারার জন্য টাকা ও আগুন দেওয়ার জন্য টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। কে নির্দেশনা দিয়েছে, কারা অর্থায়ন করেছে সব বের করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন হারুন।

শেয়ার করুন

আরো
© All rights reserved © arabbanglatv

Developer Design Host BD