স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিজিবি ও পুলিশসহ সব সেক্টরেই নিয়োগ পেয়ে নারীরা সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। এতদিন ফায়ার সার্ভিসে ছিল না নারী ফায়ার ফাইটার। ২ হাজার ৭০০ জন প্রার্থীর মধ্য থেকে আমরা সব যোগ্যতায় উত্তীর্ণ ১৫ জন নারীকে নিয়োগ দিয়েছি। যা ফায়ার সার্ভিসের ইতিহাসে প্রথম।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টায় রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বরে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ট্রেনিং কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে, প্রথমবারের মতো ফায়ার সার্ভিসে যোগদান করা নারী ফায়ার ফাইটারদের সঙ্গে ফটোসেশনে যোগ দেন মন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় আমরা প্রতিটি উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করেছি। এরপরও আমরা যেখানে প্রয়োজন সেখানেই উপজেলার বাইরেও ফায়ার সার্ভিস স্টেশন তৈরি করছি। আমাদের দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেভাবে চাহিদা অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ফায়ার ফাইটার নিয়োগ এবং আধুনিকায়ন, প্রযুক্তিগত ব্যবহার ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। আমরা অত্যাধুনিক সরঞ্জামাদি দিয়েও ফায়ার সার্ভিসকে সমৃদ্ধ করেছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নারীদের ক্ষমতায়নের কথা বলেন। আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি ডিপার্টমেন্টেই নারীদের অবস্থান রয়েছে। পুলিশে রয়েছে ও বিজিবিতেও রয়েছে। এমনকি কারাগারেও রয়েছে। তবে ছিল না শুধু ফায়ার সার্ভিসে। এই প্রথম ফায়ার সার্ভিসেও নারীদের রিক্রুট করা হলো। মোট ২ হাজার ৭০০ জনের বেশি প্রার্থী ছিল। সেখান থেকে বাছাই করে ১৫ জনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা সব পরীক্ষায় সব যোগ্যতায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিসের প্রথম নারী ফায়ার ফাইটার ব্যাচে নিযুক্ত ১৫ জন ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জের জন্য তৈরি আছেন। আমরা মনে করি পুলিশের সঙ্গে তারাও সাহসিকতার সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ফায়ার সার্ভিসের সেবা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। শুধু চ্যালেঞ্জিং নয়, সবসময় যেকোনো পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হয়। হঠাৎ অগ্নিকাণ্ড বা ভূমিকম্প হতে পারে। যেকোনো কিছু মোকাবিলার জন্যই তাদের প্রস্তুত থাকতে হয়। আগুন লাগলে ফায়ার ফাইটাররাও দগ্ধ হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে আমাদের ফায়ার ফাইটারদেরকে অগ্নিদগ্ধ হতে দেখেছি, অনেক সময় তারা আহতও হয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, ফায়ার সার্ভিসের সেবা সম্প্রসারণে আমরা নারী ব্যাচ চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমরা দেখেছি পুলিশ বা বিজিবি বলুন… যেখানেই নারীদের নিয়োগ করা হয়েছে, সেখানেই সাহসিকতার সঙ্গে তারা ভালো কাজ করছেন। ফায়ার সার্ভিসে প্রথমবারের মতো নিয়োগ পাওয়া নারী সদস্যরা আরও ভালো করবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব, ফায়ার সার্ভিস মহাপরিচালক (ডিজি) ও ফায়ার সার্ভিসের পরিচালকরা।