‘এক যুগের বেশি সময় ধরে বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের অনেক নেতাকর্মী বাড়িতে যেতে পারে না। অনেকে দুই ঘণ্টা নিশ্চিতে ঘুমাতে পারে না। সব সময় রাষ্ট্রবাহিনী আমাদের পেছনে ধাওয়া দিয়ে বেড়াচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল নেতারা এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান বলেন, ছাত্রদল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংগঠনিক সম্পাদক পরীক্ষা দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে ছাত্রলীগ মারধর করে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়। পরে ভিসির কাছে বিচার চাইলে উল্টো ক্যাম্পাস থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়। শিক্ষকরা আমাদের বাবার মতো, তারা যদি ন্যায্য বিচার না করেন তাহলে আমরা কোথায় যাবো।
তিনি আরও বলেন, মাগুরা ছাত্রদল নেতাকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা মারাত্মকভাবে আহত করার পর তিনদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে গতকাল (বুধবার) মারা যান। এছাড়া গত কয়েকদিনে সারাদেশে অবাধে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে ছাত্রদলের নেতাদের।
রাশেদ বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন- বিএনপি নাকি সহিংস রাজনীতি করার জন্য অস্ত্র সরবরাহ করছে। প্রশাসনের অতি উৎসাহী গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তা প্রমাণ করার জন্য মাঠে নেমে পড়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ঢাবির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম জিসানকে আটক করার দুই দিন পুরোনো অস্ত্র দেখিয়ে গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে। জিসানের খোঁজ নেওয়ার জন্য ছাত্রদলের কয়েকজন সিনিয়র তার বাসায় গেলে তাদেরও আটক করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল বলেন, ঐতিহাসিকভাবে আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের স্বার্থবিরোধী একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। স্বাধীনতার পরই ১৯৭৩ সালে ১ জানুয়ারি ‘ভিয়েতনাম দিবস’ উপলক্ষ্যে বের করা মিছিলে শিক্ষার্থী হত্যার মাধ্যমে যে কলঙ্কিত অধ্যায় রচিত হয়েছিল, তার ধারাবাহিকতা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের সহ সভাপতি তানজিল হাসান, তবিবুর রহমান সাগর, রিয়াদ ইকবাল, নিজামউদ্দিন রিপন, মহিবুবব মিয়া, আক্তারুজ্জামান আক্তার, নাসির উদ্দিন নাসির, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুর রিয়াদ প্রমুখ।