জসিম উদ্দিন সরকার, সিঙ্গাইর (মানিকগঞ্জ)প্রতিনিধি: সংবাদ প্রকাশের পরেই বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পলাশ কুমার বসু। পরে স্কুলশিক্ষার্থী ও নয়াপাড়া, বকচর ও বিনোদপুর গ্রামের সাধারণ মানুষদের কথা বিবেচনায় রাস্তাটি দখল মুক্ত করেন ও ৪ ফিট পাশে রাস্তার ব্যবস্থা করে দেন।
উল্লেখ্য, মানিকগঞ্জ সিঙ্গাইর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের ঘোনাপাড়া-বকচর গ্রামের সংযোগের রাস্তাটি দিয়ে দীর্ঘ ১৫/২০ বছর যাবৎ সাধারণ মানুষ ও একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চলাচল করে আসছে। ওই রাস্তার পাশের একটি জমিক্রয় করেন বলধারা ইউনিয়নের পারিল গ্রামের আওলাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি। জমিটি ক্রয় করার পর আওলাদ হোসেন দীর্ঘ দিনের ব্যবহারের রাস্তাটি বন্ধ করে একটি ভবন নির্মাণ শুরু করেন। এতে ভোগান্তিতে পরেন নয়াপাড়া, বকচর ও বিনোদপুর গ্রামের হাজার খানেক সাধারণ মানুষ। বেশ ভোগান্তিতে পরে গোবিন্দল-ঘোনাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থী। রাস্তাটি বন্ধ করায় প্রায় ১ কিলোমিটার ঘুরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক দিয়ে শিক্ষার্থীদের চলাচল করতে হয়। এনিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে ব্যবস্থা গ্রহন করেন উপজেলা প্রশাসন। ইউএনও পলাশ কমার বসু স্বয়ং উপস্থিত হয়ে সমস্যা সমাধান করে দেন।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পলাশ কুমার বসু বলেন, ২০ বছর ধরে এই রাস্তাটি স্কুলশিক্ষার্থী ও একাধিক গ্রামের মানুষ চলাচল করে আসছে। সে জন্য রাস্তাটি বহাল রাখা হয়েছে এবং আগামী ৭ দিনের মধ্যে ৪ ফিট পাশ রাস্তা করার প্রতিশ্রতি দিয়েছেন।
উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল কাইয়ুম খান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পি আই ও) আহাদী হোসেন, পৌর ভূমি কর্মকর্তা (নায়েব) কামরুল ইসলাম, (জি জি) মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম রতন, দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার সাংবাদিক মোঃ হাবিবুর রহমান রাজিব, প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার রাকিবুল ইসলাম, দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার সোহবার হোসেন, ঢাকা প্রতিদিন পত্রিকার জসিম উদ্দিন সরকারসহ এলাকার গণ্যমান্যব্যক্তিবর্গ।