শেরপুরে বৃদ্ধা ফরিদা বেগম হত্যা মামলার রায়ে তিন জনকে ফাঁসি ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, সদর উপজেলার পাঞ্জর ভাঙা গ্রামের জোগেন বিশ্বাসের ছেলে লিটন বিশ্বাস, শেরপুর পৌর শহরের গৌরিপুর মহল্লার মেফাজ্জল হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ওরফে ঠোট কাঁটা জাহাঙ্গীর এবং গৌরিপুর মহল্লার রফিক মিয়ার ছেলে শামীম মিয়া। এছাড়া, যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি হলেন গৌরিপুর মহল্লার আব্দুস সালামের ছেলে মো. আলাউদ্দিন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিকে ৫ হাজার টাকা এবং অনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।
আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল মামলার নথির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে জানান, আসামিরা ২০১৯ সালের ২১ আগস্ট রাতে চুরির উদ্দেশ্যে শেরপুর শহরের গৌরিপুর মহল্লার ফরিদা বেগমের ঘরে প্রবেশ করে। এসময় ফরিদা বেগম এক আসামিকে চিনে ফেলায় তাকে গলাকেটে হত্যা করে ঘরের মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। পরে বৃদ্ধার ছেলে শফিউল এহসান শামীম বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা করেন।
পুলিশের কাছ থেকে প্রায় এক বছর পর মামলার দায়িত্ব পায় পিবিআই। পরে জাহাঙ্গীরকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য অনুসারে এরপর ১ নম্বর আসামি লিটন বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। পরে সে ঘটনার পুরো বিবরণ দিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
পিবিআইয়ের পরিদর্শক হারুন অর রশিদ ৪ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন। আদালত ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার দুপুরে এ রায় দেন। এদিকে, সাজা ঘোষণার পর আদালত চত্ত্বরে আসামির স্বজনদের কান্নাকাটি ও আহাজারি করতে দেখা যায়। অপরদিকে, মামলার বাদী শামীম আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।