রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন

শরীরে এ উপসর্গগুলো দেখলে সতর্ক হোন, হতে পারে ওভারিয়ান ক্যান্সার

আরব-বাংলা রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩ ৫:২০ am

নারীদের শরীরে দুটি ডিম্বাশয় থাকে, যা থাকে জরায়ুর উভয় পাশে। প্রজনন ব্যবস্থা বজায় রাখতে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কারণ ডিম্বাণু ডিম্বাশয়েই তৈরি হয়, যা শুক্রাণুর সঙ্গে মিলে ভ্রূণ গঠন করে। এর সঙ্গে, ডিম্বাশয় ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন হরমোন নিঃসরণ করে, যা যৌন ইচ্ছাকে উদ্দীপিত করে।

ওভারিয়ান ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে নিরাময়যোগ্য। এটি ডিম্বাশয়ের মধ্যে একটি কোষের ত্রুটির কারণে ঘটে, যখন কোষটি অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পায়, তখন ক্যান্সার সৃষ্টি করে। ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার সার্জারি এবং কেমোথেরাপির মাধ্যমে চিকিত্সা করা হয়। চিকিত্সা এবং পুনরুদ্ধার ক্যান্সারের পর্যায়ে নির্ভর করে।

ডিম্বাশয়ে যে ক্যান্সার হয় তাকে ওভারিয়ান ক্যান্সার বলে। প্রাথমিক পর্যায়ে এ ক্যান্সার সনাক্ত করা কঠিন। এছাড়া এ ক্যান্সারের লক্ষণগুলো পেট সংক্রান্ত সমস্যার মতো হয়ে থাকে।

এর লক্ষণগুলোর হলো- পেটে টান লাগা, তলপেটে ফুলে যাওয়া, অল্প পরিমাণে খাওয়ার পরও ভরা পেট অনুভব করা, ওজন দ্রুত হ্রাস পাওয়া, ক্লান্ত হওয়া, পিঠে ব্যথার সমস্যা ও ঘন ঘন মূত্রত্যাগ।

যদিও ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের কোনো সুস্পষ্ট কারণ নেই। তবে একটা বিষয় একেবারেই পরিষ্কার যে, ডিমের ডিএনএ বা তার আশেপাশে যেকোনো কোষের অবাঞ্ছিত পরিবর্তন ঘটলে, যাকে ডাক্তারি ভাষায় মিউটেশন বলে, তখন তা শুরু হয় কোষের ডিএনএ দিয়ে।

প্রতিটি কোষের ডিএনএ রয়েছে, এ ডিএনএ কোষকে বলে দেয় কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয়। যেমন, কতদূর হাঁটতে হবে এবং কোথায় থামতে হবে। কিন্তু যখন ডিএনএ পরিবর্তিত হয়, তখন এ নিয়ন্ত্রণটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং কোষটি অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পায়, অন্যান্য সুস্থ কোষকে হত্যা করে। কোষ বাড়তে থাকে এবং ক্যান্সারের জন্ম দেয়।

ওভারিয়ান ক্যান্সার প্রধানত তিন প্রকার- অ্যাথেলিয়ান, স্ট্রোমাল টিউমার ও জীবাণু কোষের টিউমার।

উল্লেখ্য, উপরোক্ত সমস্যাগুলোর যেকোনো একটি দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।

শেয়ার করুন

আরো
© All rights reserved © arabbanglatv

Developer Design Host BD