নোয়াখালীর মেঘনা নদীতে জলদস্যুদের হামলায় গুলিবিদ্ধ ২ জেলে মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- সুবর্ণচর উপজেলার পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের চরমজিদ গ্রামের ভুলু মাঝির ছেলে জিল্লুর রহমান (৩২) ও একই উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চর তোরাব আলী গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে নূর আলম মিয়া (৩৫)।
সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মানষ বিশ্বাস রাইজিংবিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, বুধবার বিকেলে মেঘনা নদীতে মাছ ধরা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় জলদস্যুদের গুলিতে দুই জেলে গুলিবিদ্ধসহ ৫ জন আহত হন। দুর্বৃত্তরা আরও পাঁচ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অপহৃতরা জেলেরা হলেন- রাজু (১৩), জুয়েল (২৬), আব্দুর রহমান (২২), হোসেন (৪০) ও ইসমাইল (৪০)। আহতদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী জেলেরা জানান, সুবর্ণচর উপজেলার মাইন উদ্দিন মাঝি ও অলি মাঝি মেঘনা নদীর স্বর্ণদ্বীপের পশ্চিমে সন্দীপ চ্যানেল এলাকায় খোপ তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে মাছ শিকার করে আসছেন। কিছুদিন আগে থেকে মেঘনা নদীর মাছ শিকারের ওই খোপ দখলের চেষ্টা চালায় জলদস্যু কেফায়েত বাহিনী।
বুধবার বিকেলে কেফায়েত বাহিনী ওই খোপ দখল করতে জেলেদের জাল কেটে দেয়। খবর পেয়ে মাছ ধরার দুটি ট্রলার নিয়ে সেখানে যান ভুক্তভোগী জেলেরা। একপর্যায়ে জলদস্যু কেফায়েত বাহিনীর সদস্যরা জেলেদের ২টি মাছ ধরার ট্রলারে দুই দফায় হামলা চালিয়ে মাছ, জাল, ট্রলারসহ মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এ সময় জলদস্যু বাহিনী গুলি ছুঁড়লে দুই জেলে গুলিবিদ্ধসহ পাঁচ জন আহত হন। পরে জলদস্যু বাহিনী আরও ৫ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
হামলার শিকার ট্রলারের মালিক আলাউদ্দিন মাঝির ছোট ভাই গিয়াস উদ্দিন বলেন, মাছের খোপ দখলকে কেন্দ্র করে কেফায়েত বাহিনীর সদস্যরা দুই জনকে গুলি করে। এছাড়া, ৫ জেলেকে অপহরণ ও দুটি ট্রলারে ডাকাতি করে সব নিয়ে গেছে।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, মেঘনা নদীর সন্দীপ চ্যানেলের কাছে মাছের খোপ দখলকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল হাতিয়া ও সন্দীপ এলাকায় হওয়ায় এ বিষয়ে খোঁজখবর নিতে পারিনি।