শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হারের কারণে কিছুটা ব্যাকফুটে ছিল বাংলাদেশ। তাই এশিয়া কাপে সুপার ফোরের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই। এমন সমীকরণের ম্যাচে মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্তর অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ভর করে আফগানদের বিপক্ষে রেকর্ড সংগ্রহ পেয়েছে সাকিব বাহিনী।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৩৪ রান সংগ্রহ করেছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। এর আগে রশিদ খানদের বিপক্ষে সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ৩০৬ রান, যা গতবছর চট্টগ্রামে করেছিল টাইগাররা।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ব্যাটিংয়ে নাঈম শেখের সাথে ওপেনিংয়ে সুযোগ পান মিরাজ। উদ্বোধনী জুটিতে তারা দুজনে মিলে ইনিংসের শুরুতে গড়েছেন ৬০ রান, গত সাত ম্যাচ পর এটিই ছিল বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে পঞ্চাশ পেরোনো জুটি। সেইসঙ্গে আফগানদের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটিও এটিই।
তবে এদিন ব্যাটিংয়ে আশা জাগিয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি নাঈম। আফগান স্পিনার মুজিব-উর-রহমানের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। বিদায়ের আগে ৩২ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ২৮ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। এরপর প্রমোশন পেয়ে তিনে ব্যাটিংয়ে আসেন তাওহিদ হৃদয়। তবে রানের খাতা খোলার আগেই গুলবাদিন নাইবের বলে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
ইনিংসে দারুণ সূচনা পেয়েও দ্রুতই জোড়া উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে ছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে মিরাজের অনবদ্য জুটি বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিয়েছে। তৃতীয় উইকেটে তারা দুজনে মিলে গড়েন ১৯৪ রানের জুটি, যা এশিয়া কাপে বাংলাদেশের কোনো উইকেটে সর্বোচ্চ।
এদিন ব্যাটিংয়ের শুরুতে কিছুটা ধীরগতির হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে খোলস থেকে বের করে আণেণ মিরাজ। আর অন্যপ্রান্তে সাবলীল ব্যাটিং উপহার দিয়ে যান শান্ত। এতে মিরাজ ১১৫ বল তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয়বার তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে যান। তবে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আক্রমণে উঠতে গিয়েই ১১২ রান করে রিটায়ার হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
এদিকে আগের ম্যাচে আশা জাগিয়েও সেঞ্চুরি করতে পারেননি শান্ত। তবে সেই আক্ষেপ মিটিয়ে আজ সেঞ্চুরিই করলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেললেন নিজের ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস। ব্যাট হাতে মিরাজের শতকের পরেই মাত্র ১০১ বলে শান্তও পেয়েছেন তিন অঙ্কের দেখা। তবে ১০৪ রানের মাথায় দ্রুত রান তোলার তাড়ায় রানআউট হয়ে যান তিনি।