উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন সেনাদের সঙ্গে নিয়ে প্যারেডে নিজেদের সামরিক শক্তি দেখালো দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির সেনাবাহিনীর ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এই প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সিওল জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া যদি কোনোভাবে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করে, তাহলে তার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। সাধারণত এই ধরনের সামরিক প্যারেড করে না দক্ষিণ কোরিয়া। চার হাজার সেনা সিওলে মার্চ করেছেন। প্যারেডে কামান, ড্রোন, ব্যালেস্টিক মিসাইলের মতো অস্ত্রসম্ভার দেখানো হয়েছে। উত্তর কোরিয়া যখন তাদের পরমাণু অস্ত্রসম্ভার বাড়াচ্ছে এবং রাশিয়ার সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছে, সেসময় এই প্যারেড বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে।
প্যারেডে ২০১৩ সালের পর আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাও দক্ষিণ কোরিয়ায় এরকম সামরিক প্যারেডে যুক্ত হলো। এই প্যারেডে তিনশ জন মার্কিন সেনাও অংশ নেয়। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কতটা গভীর ও দায়বদ্ধ তা দেখানোর জন্যই প্যারেডে মার্কিন সেনা অংশ নেয় বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়েওল।
ইউন সুক-ইওল বলেছেন, উত্তর কোরিয়া যদি পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের চেষ্টা করে, তাহলে দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিলে প্রতিক্রিয়া জানাবে। যার ফলে উত্তর কোরিয়ার শাসকদের পতন হবে। পিয়ংইয়ং এই বছর একের পর এক মিসাইল পরীক্ষা করে চলছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি, পশ্চিমাদের কাছ থেকে বিপদের আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে তারা এই পরীক্ষা করছে।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন রাশিয়া গিয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি রাশিয়ার কাছ থেকে উন্নত সামরিক প্রযুক্তিও চেয়েছেন।