শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১২ পূর্বাহ্ন

মাছ-মাংস-ডিমের দাম চড়া, স্বস্তি নেই সবজির বাজারেও

আরব-বাংলা রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪ ৮:৪৪ am

বাজারে ক্রেতাদের জন্য সুখবর নেই। দাম চড়া মাছ, মাংস ও ডিমের। অন্যদিকে স্বস্তি নেই সবজির বাজারেও। কয়েকটি সবজির দাম প্রতি কেজির দাম ১০০ টাকার ঘরে পৌঁছেছে। বেড়েছে আলুর দামও। আজ শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর মিরপুর ও মোহাম্মদপুরের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায় মাছ-মাংসের সঙ্গে বেড়েছে সবজির দামও।

গরমে মুরগি মরার প্রভাব পড়েছে বাজারে। সোনালি মুরগির দাম প্রতি কেজি ৪০০ টাকায় উঠেছে। কোথাও আরও ১০ টাকা বাড়তি। রোজার মধ্যেও যা প্রতি কেজি ৩৫০ টাকার আশপাশে ছিল। ব্রয়লার মুরগির কেজি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। ঈদের পর নতুন করে ডিমের দাম ডজনে ২০ টাকা বেড়েছে। ফার্মের বাদামি রঙের ডিমের দাম প্রতি ডজন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। সাদা রঙের ডিম ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। খাসির মাংসের দাম ১০০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা।

বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, গরমের তীব্রতা কমার সঙ্গে সঙ্গে মুরগি ও ডিম উৎপাদনে বিশেষ নজর দিতে হবে। এ ছাড়া বাজার দীর্ঘ মেয়াদে ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, ক্ষুদ্র খামারিরা উৎপাদনে না ফিরতে পারলে বাজারে অস্থিরতা আরও বাড়বে।

মাংসের মতো মাছের বাজারেও দামের উত্তাপ। আকারভেদে চাষের তেলাপিয়া ও পাঙাশ কিনতে হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। চাষের রুই মাছের দাম পড়ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি। ইলিশের বাজারের ঠিক নেই। এক কেজি আকারের ইলিশের দাম হাঁকানো হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা। দেশি মাছের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। এক কেজি শোল ও মাগুর আকারে ছোট হলেও দাম চাওয়া হচ্ছে ৮০০ টাকা। মাঝারি আকারের বাইম ও বোয়ালের কেজি হাজার টাকার মতো।

এদিকে, প্রতি কেজি বেগুনের দাম আবারও শতক ছুঁয়েছে। আকার ও মানভেদে প্রতি কেজি বেগুনের দাম চাওয়া হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। বরবটির দাম ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। আর পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। বাজারে অন্যান্য সবজির মধ্যে ঝিঙে, ধুন্দুল ও চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। কিছুটা কমে ৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে পটোল ও ঢ্যাঁড়স। এদিকে এক কেজি আলু কিনতে গুনতে হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা।

বাজারে সবজির দাম বাড়তির বিষয়ে বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. ইমরান মাস্টার বলেন, প্রচণ্ড তাপের কারণে মাঠে সবজি উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। তাই বাজারে সবজির সরবরাহ কম, দামও বেড়েছে। নতুন করে কৃষকেরা যেসব সবজি লাগাচ্ছেন, তা আসতে সময় লাগবে। দুই থেকে তিন সপ্তাহের আগে সবজির দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করেন তিনি।

শেয়ার করুন

আরো
© All rights reserved © arabbanglatv

Developer Design Host BD