আনন্দবাজার পত্রিকার সাংবাদিক দেবমাল্য বাগচী গ্রেপ্তার হয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, চোলাই মদের রমরমা কারবার নিয়ে একটি প্রতিবেদন করার প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের আত্মীয়রা অভিযোগকারী বাসন্তী দাস ও সাংবাদিক দেবমাল্যের নামে মামলা করেন এবং তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গত বুধবার গ্রেপ্তারের পর দেবমাল্যদের মেদিনীপুর আদালতে হাজির করে পুলিশ। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের জেল হেফাজতে রাখা হবে। জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকারের দাবি, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আনন্দবাজারের খড়গপুরের সাংবাদিক দেবমাল্য। তাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গতকালও জেলায় জেলায় প্রতিবাদ হয়েছে। কেউ পথে নেমেছেন, কেউ প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। আবার সংবাদমহলের সঙ্গে যুক্ত নন, এমনও অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন।
দেবমাল্যকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় পুলিশের সমালোচনা করে টুইট করেছেন বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্সে (পূর্বে টুইটার নামে পরিচিত) দেওয়া বার্তায় তিনি লেখেন, ২৭ আগস্ট আনন্দবাজারের খড়গপুর সংস্করণে শহরের সাঁজোয়াল এলাকায় চোলাই মদের রমরমা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই খবরে পুলিশ প্রশাসনের অকর্মণ্যতা নিয়ে প্রতিক্রিয়া হয় এবং কীভাবে বাড়িতে চোলাই ব্যবসা চলছে, তা তুলে ধরা হয়। পুলিশ কয়েকজন মদ্যপকে ধরে জনরোষ সামাল দিতে চায়। কিন্তু মূল অভিযুক্তরা গা ঢাকা দেয়। যিনি অভিযোগ করেছিলেন, চোলাই কারবারিরা তার বাড়ি ঘেরাও করে এবং অভিযোগ তোলা নিয়ে তাকে হুমকি দেওয়া হয়।
অন্যদিকে জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাসের দাবি, সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করছে পুলিশ। তাই সাংবাদিককে মিথ্যে মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যদিও জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা বলছেন, এমন ঘটনা না ঘটলেই ভাল হতো।
দেবমাল্যের পরিবারের ভাষ্য, সেই রাতে পুলিশ বাড়ি ঘিরে ফেলায় সবাই ভয় পেয়েছিল। আইন-আদালতের ওপর আস্থা আছে জানিয়ে তারা বলেন, ও নিশ্চয়ই ন্যায় বিচার পাবে।
সূত্র: এবিপি লাইভ, আনন্দবাজার অনলাইন