চন্দ্রযান-৩ চাঁদে অবতরণের গৌরবময় সাফল্যের পেছনে নারী বিজ্ঞানীদেরও সমান কৃতিত্ব রয়েছে। বিজ্ঞান কন্যাদের সেই টিমে ছিলেন মহাকাশ বিজ্ঞানী মৌমিতা দত্ত। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এই কন্যার কৃতিত্বে আনন্দে ভাসছে গোটা রাজ্য। ‘মিশন ইমপসিবেল’কে সফল করা কে এই মৌমিতা?
একনজরে বিজ্ঞানী মৌমিতা দত্ত
ভারতের মঙ্গল মিশনের অন্যতম কাণ্ডারি ইসরোর বিজ্ঞানী মৌমিতা দত্ত। ছোট থেকেই ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। তখন থেকেই অজানাকে জানার দৌড় শুরু। স্কুলজীবন শেষ করেছেন হোলি চাইল্ড ইনস্টিটিউটে। পরে রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ থেকে অ্যাপ্লায়েড এফ ফিজিক্স নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন তিনি।
এমটেক ডিগ্রি অর্জনের পর মৌমিতা পা রাখেন আহমেদাবাদের স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে। সেখানে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টে অংশগ্রহণ করেন। এরপর সুযোগ পান মঙ্গলযান মিশনে। তখন প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসেবে মিথেন সেন্সরের অপটিক্যাল সিস্টেম তৈরিতে কৃতিত্বের ছাপ রাখেন এই বঙ্গকন্যা।
সেখান থেকেই নতুন শুরু। মঙ্গল মিশন তাকে এনে দিয়েছে ইসরো টিম অব এক্সেলেন্স-এর সম্মান। পরে তাকে চন্দ্রযান-৩ অভিযানে যুক্ত করা হয়। ইসরোর অন্যান্য নারী বিজ্ঞানীদের মধ্যে এই গৌরবময় ইতিহাসে তার নামও লেখা হলো।
মঙ্গল মিশনে মৌমিতার অবদান
২০০৮ সাল থেকেই ভারতের মঙ্গলযান যাত্রা শুরু হয়। মঙ্গলযান যাত্রায় সেই গ্রহের মাটির গঠন, বৈশিষ্ট্য, বাতাসে মিথেন গ্যাসের অস্তিত্ব, ভূমিকা নিয়েও অনেক গবেষণার পথ খুলে দিয়েছিল ভারতের প্রথম মঙ্গলযাত্রা। সেই প্রকল্পের মিথেন সেন্সর তৈরি করতে মৌমিতার টিম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
এদিকে চন্দ্রযান-৩ মিশনে একগুচ্ছ নারী বিজ্ঞানীর গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে। ইসরোর ‘অ্যাডভান্সড লঞ্চার টেকনোলজি’র ভিআর ললিথম্বিকা থেকে শুরু করে নন্দিনী হরিনাথ, ভানিতা মুথাইয়া, বিজ্ঞানী ঋতু করিধাল প্রত্যেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ভারতের এই গৌরবের ইতিহাস লিখতে।