ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশনে নির্বাচনী সহিংসতায় ৭০ বছর বয়সী শাহাজল হক দালাল ওরফে শাহে আলম নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ২৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাত দেড়টায় তার মৃত্যু হয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। জানা গেছে, উপজেলার নীলকমল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলমগীর হাওলাদারের দুইশতাধিক কর্মী গত ১৮ ডিসেম্বর স্বতন্ত্র প্রার্থী ইকবাল হোসেন লিখনের বাড়ীর দরজায় ঘোষেরহাট বাজারের তার নিবাচনি অফিসে হামলা চালায়। এসময় ইকবাল হোসেন লিখনের কর্মীরা বাধা দিতে গেলে তাদের উপরও হামলা চালানো হয়। এ সময় শাহাজল হক দালাল ওরফে শাহে আলমসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীর শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। ১৮ ডিসেম্বর রাতে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শাহে আলমকে। দুইদিন চিকিৎসা দেওয়ার পর বাড়িতে আনা হয় তাকে। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে শাহে আলমকে ফের চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই তার মৃত্যু হয়। তবে ঠিক কী করণে শাহে আলমের মৃত্যু হয়েছে তা স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, ইউপি নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল হোসেন লিখন শান্তিপূর্ণভাবে প্রচার, গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করে আসছেন। গত ১৮ ডিসেম্বর ঘটনার দিন হঠাৎ করে নৌকার প্রার্থী আলমগীর হাওলাদেরের হেলমেট পরিহিত দুইশতাধিক কর্মী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইকবাল হোসেন লিখনের বাড়ীর দরজায় ঘোষেরহাট বাজারের তার নিবাচনি অফিসে হামলা চালায়। খবর পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা প্রচার গাড়ী উদ্ধার করতে গেলে শতাধিক কর্মীসমর্থককে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। এসময় আরো দুটি অটোরিকশা ভাংচুর করে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আলমগীর হোসেন হাওলাদার লোকজন।