বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বিজিএমইএ দেশের উল্লেখযোগ্য অন্যতম একটি সংগঠন। এখানে ভোট হয় ভীষণ সুন্দর। নির্বাচনে হার-জিত থাকবেই। তবে সবাইকে দেশ এবং সংগঠনের জন্য কাজ করতে হবে।
শনিবার (৯ মার্চ) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে নিজের ভোট দেওয়ার পর তিনি এসব কথা বলেন।
ভোটের পরিবেশ সুন্দর উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, নির্বাচনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও ফলপ্রকাশের পর সবাই আবার একসঙ্গে মিলেমিশেই কাজ করি। এটাই বিজিএমইএ। জয়-পরাজয় উভয়দলের জন্যই রয়েছে। যারা জিতবে এবং যারা হারবে তাদের সবার জন্য একই বার্তা সেটি হচ্ছে সবাইকে দেশের জন্য ও সংগঠনের জন্য কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, বিজিএমইএ অর্থনীতির লাইফ লাইন হিসেবে কাজ করছে। এই ধারা বজায় রাখতে হবে। ভোটের পরিবেশ খুব ভালো মনে হচ্ছে। সবাই মিলে-মিশে ভোট দিচ্ছে। দেখে মনেই হচ্ছে না কোনো নির্বাচন হচ্ছে।
এরআগে বিজিএমইএ পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে ভোট দেন আরেক সাবেক সভাপতি সালাম মুর্শেদী। তিনি বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে আমাদের ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিজিএমইএ নির্বাচন কেন্দ্রিক একটি সুন্দর উদাহরণ তৈরি করেছে। নির্বাচনের জন্য দুটি পক্ষ হয়েছে, কিন্তু শেষ হয়ে গেলেই আমরা আবার একসঙ্গে সবাই মিলে কাজ করব। এটাই হলো বিজিএমইএর বৈশিষ্ট্য। তবে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে সামনে।
তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য যারাই যোগ্য তাদেরই ভোটাররা ভোট দেবেন। আমরা তাদের সঙ্গে থেকে আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা করব। এই সেক্টর জিডিপিতে একটি বড় অবদান রাখছে। সঙ্গে দেশের অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। আগামী দিনেও এমন ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে বলেও প্রত্যাশার কথা জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মিলে ৩৫টি পরিচালক পদে দুই প্যানেলের ৭০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গণনা শেষে ওই দিনই প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এবারের নির্বাচনে ভোটার ২ হাজার ৪৯৮। এর মধ্যে ঢাকা অঞ্চলের ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৩২। চট্টগ্রামে ৪৬৪ জন। নির্বাচিত পরিচালকরা ১৯ মার্চ সংগঠনের সভাপতি এবং প্রথম সহ-সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং দুজন সহ-সভাপতি নির্বাচন করবেন।