জোট সরকার গঠনের লক্ষ্য নিয়ে আজ সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বৈঠকে বসতে যাচ্ছে পাকিস্তানের দুই রাজনৈতিক দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-এন (পিএমএলএন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে পিএমএলএন ৭৫টি এবং পিপিপি ৫৪টি আসনে জয় পায়। অপরদিকে ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পায় ৯২টি আসন। কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় দেশটিতে এখনো নতুন সরকার গঠন সম্ভব হয়নি।
তবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৫টি আসন পাওয়া পিএমএলএন নির্বাচনের পর থেকেই পিপিপিকে নিয়ে সরকার গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু তাদের মধ্যে বিভিন্ন মতানৈক্য থাকায় সেটি সম্ভব হয়নি। আজকের বৈঠকের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে থাকা মতানৈক্যগুলো দূর করার চেষ্টা করবে তারা।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, পারমাণবিক শক্তিসমৃদ্ধ ও ২৪ কোটি মানুষের দেশ পাকিস্তান বর্তমানে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও রেকর্ড মূল্যস্ফীতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এগুলোর সমাধান করতে দেশটির একটি শক্তিশালী সরকার প্রয়োজন; যেটি কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
পিএমএলএন শেহবাজ শরীফকে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনীত করেছে। আজকের বৈঠকটি পিএমএলএন এবং পিপিপির মধ্যে পঞ্চম দফা বৈঠক হবে।
পিএমএলএনের সিনেটর ইসহাক দার সরকার গঠনের আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। গতকাল রোববার মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টে ইসহাক দার বলেছেন, “দুই দল এখনো চূড়ান্ত বিষয়গুলো নিয়ে একমত হয়নি।”
পিপিপির নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো পিএমএলএনকে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে শর্তসাপেক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পিএমএলএন যাকে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন দেবে; তাকে তারা সমর্থন জানাবেন। কিন্তু তার দল কেন্দ্রীয় সরকারে কোনো পদ; অর্থাৎ মন্ত্রীর দায়িত্ব নেবে না।
পিএমএলএনের নেতা ইসহাক দার সংবাদমাধ্যম জিও টিভিকে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তারা জোট সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন। তিনি বলেছেন, “আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি একটি বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো একটি জোট সরকার গঠন করবে।”
তবে এ দুটি দল যদি জোট সরকার গঠন করতে সমর্থ হয়। তাহলে অর্থনৈতিক সমস্যা ছাড়াও তাদের পিটিআইয়ের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মুখোমুখি হতে হবে। কারণ সংসদের বড় একটি অংশে থাকবেন পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা।
সূত্র: রয়টার্স