শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) মরক্কোর স্থানীয় সময় রাত ১১টার একটু পর আটলাস পর্বতমালার কাছে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ২০ সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নিহতদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩২ জনে।
শক্তিশালী এই ভূমিকম্পকে ‘মরক্কো ট্র্যাজেডি’ উল্লেখ করে শোক প্রকাশ করেছেন বিশ্ব নেতারা। এ ছাড়াও সহযোগিতার হাত বাড়াচ্ছে ইসরায়েলসহ কয়েকটি রাষ্ট্র।
বার্তা সংস্থা আল জাজিরা জানায়, মরক্কোর ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসা কার্যক্রমে সহায়তায় দল পাঠাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সরকার ঘোষণা করেছে, পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মরক্কোতে পাঠানোর জন্য একটি বড় দল প্রস্তুত করছে।
প্রস্তুত দলটি এরই মধ্যে রাবাতে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করছে এবং মরক্কোর পর্যটকদের মধ্যে কোন ইসরায়েলি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কি-না তা খবর রাখছে। তবে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়াও ভূমিকম্পে ‘বিধ্বস্ত’ মরক্কোতে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
এ ছাড়া ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মুখপাত্র টমাসো ডেলা লঙ্গা জানিয়েছেন যে তাদের “জরুরি প্রতিক্রিয়া ইউনিট” নামে একটি দল রয়েছে যাদের ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মরক্কোতে মোতায়েন করা হবে।
এ ছাড়া জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ এবং স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ ‘বিধ্বংসী’ ভূমিকম্পের পর শোক প্রকাশ করেন।
মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মারাকেশসহ দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিকম্পের প্রভাবে ধসে পড়েছে অসংখ্য বাড়ি-ঘর। আর ধসে পড়া বাড়ির নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধার এবং বাঁচাতে এখন হাতে করে ধ্বংসস্তূপ সরাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
এই ভূমিকম্পটি দেশের এক শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প বলে জানিয়েছেন মরক্কোর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ জিওফিজিক্সের প্রধান। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল দক্ষিণ-পশ্চিম মরক্কোর আল-হাউজ অঞ্চল বলে জানান তিনি।