চলতি ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে কলেরা সংক্রমণে উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে। বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ২৬টি দেশে কলেরায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সোমবার সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় ডব্লিউএইচওর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়ে সংস্থার কলেরা প্রতিরোধ বিষয়ক দলের প্রধান ফিলিপ বারবোজা বলেন, ‘২০১৯ সাল পর্যন্ত ২০টিরও কম দেশে পানি ও খাদ্যদূষণজনিত কারণে কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা যেত। ২০২০ সাল থেকে এটি বাড়তে শুরু করেছে এবং বর্তমানে তা আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে।’
‘গত ৫ বছরের মধ্যে চলতি ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর— ৯ মাসে বিশ্বজুড়ে কলেরায় মৃত্যুর হার বেড়েছে তিনগুণ। সবচেয়ে বাজে অবস্থায় রয়েছে আফ্রিকার দেশগুলো।’
এই মুহূর্তে সিরিয়া, আফগানিস্তান, ক্যামেরুন, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, মালাউই, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া ও পাকিস্তানে কলেরার প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে উল্লেখ করে বারবোজা বলেন, ‘এই দেশগুলো ভয়াবহ সংকট পার করছে। প্রতিদিন কলেরায় আক্রান্ত হয়ে গড়ে ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এসব দেশে।’
বৈশ্বিক কলেরা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে টিকা সংকট। সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে বারবোজা জানান, তহবিলে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় ওষুধ কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে কলেরার টিকা কিনতে পারছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ফলে দরিদ্র দেশগুলোতে টিকার ডোজ সরবরাহ করাও অনিশ্চিত হয়ে উঠছে দিন দিন।
‘এই মুহুর্তে আমাদের হাতে মাত্র কয়েক লাখ ডোজ কলেরা টিকা রয়েছে। তহবিলে যথেষ্ট অর্থ না থাকায় আমরা টিকা কিনতে পারছি না, কলেরা সচেতনা বিষয়ক প্রচার-প্রচারণাও চালাতে পারছি না,’ সংবাদ সম্মেলনে বলেন ডব্লিউএইচও’র কর্মকর্তা।
সূত্র : রয়টার্স