বিএনপিকে হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তারা এখনও বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে। বিদেশিদের হাতে-পায়ে ধরে আর লাভ নাই, কয়েকটা বিবৃতি দিয়ে কিছু হবে না। ক্ষমতায় কারা থাকবে, সে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ।
রোববার (২০ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিএনপি সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। তারেক রহমানের নেতৃত্বে ও খালেদা জিয়ার নির্দেশনায় পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়। কেননা আমরা প্রথমে মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে অনুমতি না দিয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়। এটা মূলত বিএনপির পরিকল্পনার অংশ। কারণ, মুক্তাঙ্গন ছিল খোলামোলা জায়গা। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ খোলামেলা নয়, গ্রেনেড ছোড়া সহজ ছিল।
তিনি বলেন, হামলার পর নেতাকর্মীরা যখন এগিয়ে আসে, তখন তাদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়, পানি দিয়ে এভিডেন্স ধুয়ে ফেলা হয়। এরপর হামলার ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, মোসাদ নাকি এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। এরপর আবার জজ মিয়া নাটক করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাসিমা ফেরদৌসী প্রমুখ।