বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ০৬:০২ অপরাহ্ন

বাংলাদেশে ১ কোটি মানুষ হেপাটাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত

আরব-বাংলা রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪ ৫:৫১ am

বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস আজ। হেপাটাইটিস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর ২৮ জুলাই দিনটি পালন করা হয়। দিনটি নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী বারুচ স্যামুয়েল ব্লুমবার্গের জন্মদিন। তিনিই প্রথম হেপাটাইটিস বি ভাইরাস আবিষ্কার করেছিলেন।

২০০৮ সালের ২৮ জুলাই বিশ্ববাসীকে সচেতন করতে হেপাটাইটিস দিবস পালনের উদ্যোগ নেয় ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস অ্যালায়েন্স’। ২০১১ সালে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসটিকে স্বীকৃতি দেয়। এরপর থেকে প্রতিবছর ২৮ জুলাই দিবসটি পালন করা হচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘ এখনই সময় পদক্ষেপ নেয়ার’।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে হেপাটাইটিস ‘বি’ ও ‘সি’ ভাইরাসে প্রায় ১ কোটি মানুষ আক্রান্ত। বেসরকারি হিসাবে হেপাটাইটিসে প্রতি বছর ২০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয় দেশে। হেপাটাইটিস নিয়ে উদ্বেগের সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে সারা বিশ্বে হেপাটাইটিস ‘বি’ ও ‘সি’ ভাইরাসে সংক্রমিত ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই জানেন না যে তার শরীরে এই ভাইরাস আছে।

লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ হেপাটোলজি সোসাইটি’র এক গবেষণায় বলা হয়েছে, জন্ডিস নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের শতকরা ৭৬ ভাগ হেপাটাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত।

হেপাটাইটিস দিবস উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী হেপাটাইটিস নির্মূলের লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে, যা বাস্তবসম্মত এবং আমাদের সকলের প্রচেষ্টায় তা অর্জন সম্ভব। হেপাটাইটিস নির্ণয়ে পরীক্ষা করুন, টিকা নিন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসা গ্রহণ করুন।’

হেপাটাইটিস আসলে লিভারের সংক্রমণ। এটা এমন ভাইরাস যা মানবদেহে চুপ করে বসে থাকে। আস্তে আস্তে ভয়ংকর রূপ নেয়। পরবর্তী সময়ে লিভার সিরাসিস ও ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

অনিরাপদ রক্ত ( পেশাদার ডোনার), সিরিঞ্জ, দৈহিক মিলন, মাদকাসক্ত, একই সিরিঞ্জের মাধ্যমে ড্রাগের ব্যবহার, অনিরাপদ আকুপাঞ্চার, মা থেকে নবজাতকের ছড়াতে পারে। এছাড়া টুথব্রাশ ও সেভিংয়ের উপকরণের মাধ্যমে ছড়াতে পারে হেপাটাইটিস।

হেপাটাইটিস বি দু’রকম হয়, অ্যাকিউট এবং ক্রনিক। অ্যাকিউট হেপাটাইটিস হয় সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের। তাদের শরীরে কোনও ভাবে ভাইরাসটি ঢুকলে জ্বর, জন্ডিস, খিদে কমে যাওয়া, সাদা মল, গা-বমি ভাব, হলুদ প্রস্রাব- এই সব উপসর্গ দেখা দেয় রোগীর শরীরে। শরীরে ভাইরাস ঢোকার ৬ সপ্তাহ থেকে ৬ মাস পরেও দেখা দিতে পারে উপসর্গ। সংক্রমণের প্রথম ১ মাস থেকে ৩ মাস উপসর্গের তীব্রতা থাকে বেশি। আর ৬ মাসের মধ্যে সাধারণত নির্মূল হয়ে যায় ভাইরাস। তার পরে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যায়।

শেয়ার করুন

আরো
© All rights reserved © arabbanglatv

Developer Design Host BD