একাত্তরে পাকিস্তানের সহযোগীরা ‘বঙ্গবন্ধুর রক্তের ওপর’ দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে দেশে উগ্রবাদের উত্থান করেছিল বলে জানিয়েছে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম। বঙ্গবন্ধুর রক্তের ওপর পা রেখে ক্ষমতায় আসা সামরিক শাসকরা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করেছে বলেও জানায় রণাক্ষণের বীরদের সংগঠনটি।
শনিবার (১৯ আগস্ট) প্রেসক্লাবে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রেক্ষাপট, পরিণতি ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
এসময় সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর রক্তের ওপর পা রেখে ক্ষমতায় আসা প্রথম সামরিক শাসক মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, দর্শন, চিন্তা, চেতনা, ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংবিধান থেকে বাতিল করেছিল। একাত্তরে পাকিস্তানের সহযোগীরা প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপিসহ রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের সর্বত্র চালকের আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘জামায়াত, রাজাকার, আলবদরসহ, একাত্তরের ঘাতকরা রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে ফিরে আসে। মধ্যপ্রাচ্যের পেট্রো ডলারের সহযোগিতায় দেশের শহর, বন্দর, গ্রামগঞ্জে ছদ্মবেশে চরম উগ্রবাদিদের প্রতিপত্তি ও বিস্তার ঘটতে থাকে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সম্প্রদায়িক সহিংসতার শিকার হয়ে সংখ্যালঘুরা দেশ ছাড়তে বাধ্য হন।’
সংগঠনের কার্যনির্বাহী সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাষ্টি মুক্তিযোদ্ধা ডা. সারওয়ার আলী, শিক্ষাবিদ ও নারী নেত্রী অধ্যাপক মাহফুজা খানম, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী, সাবেক সচিব মুক্তিযোদ্ধা আবু আলম মোহাম্মদ শহীদ খান প্রমুখ।