শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১৬ অপরাহ্ন

ফের বন্ধ রাফাহ ক্রসিং, যুক্তরাষ্ট্র বলল নিরাপত্তা সংকট

আরব-বাংলা রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৩ ৪:২২ am

‘নিরাপত্তাজনিত কারণে’ ফের বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গাজা উপত্যকা ও মিসরের মধ্যকার সীমান্তপথ রাফাহ ক্রসিং। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ব্রিফিংয়ে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘রাফাহ ক্রসিং আজ থেকে বন্ধ রয়েছে। আমরা যদ্দুর বুঝতে পারছি, নিরাপত্তাজনিত কারণেই এমন হয়েছে।’

কবে নাগাদ এই সীমান্তপথ খুলতে পারে, তার কোনো আভাস বেদান্ত প্যাটেল দেননি। মিসর থেকেও এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি আসেনি।

মিশরের সিনাই অঞ্চল থেকে গাজা উপত্যকাকে পৃথক করা এই সীমান্তপথটি উপত্যকার সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত। গাজা থেকে বের হওয়ার আরও দুটি সীমান্তপথ রয়েছে, কিন্তু সেগুলো ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে এবং ইসরায়েলের ইচ্ছা অনুযায়ী সেগুলো খোলা বা বন্ধ থাকে।

৩৬৫ কিলোমিটার আয়তনের ভূখণ্ড গাজায় বসবাস করেন প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি। যাদের এক তৃীতিয়াংশেরও বেশি সরাসরি জাতিসংঘ ও অন্যান্য দাতা দেশ ও সংস্থার ত্রাণ এবং আর্থিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। অপর দুই সীমান্ত প্রায় সময়েই বন্ধ থাকায় এই রাফাহ ক্রসিং দিয়েই গাজা ভূখণ্ডে প্রবেশ করে ত্রাণ। এ কারণে এই ক্রসিংটি গাজার ফিলিস্তিনিদের ‘লাইফ লাইন’ নামেও পরিচিত।

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত এলাকা দিয়ে ইসরায়েলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ওই দিন থেকেই সেখানে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী।

ইসরায়েলি বিমান বাহিনী অভিযান শুরুর পর ৯ অক্টোবর সীমান্তে গোলা বর্ষণের কারণে রাফাহ ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মধ্যস্থতায় গত ২১ অক্টোবর তা ফের খুলে দেয় মিসর।

তারপর থেকে ৩ নভেম্বর শুক্রবার পর্যন্ত এই সীমান্ত পথ দিয়ে ৬৫০ ত্রাণ ও চিকিৎসা সামগ্রীবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে গাজা উপত্যকায়। সেই সঙ্গে যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজা থেকে মিসরে প্রবেশ করেছেন শত শত বিদেশি নাগরিক ও বিদেশি পাসপোর্টধারী ফিলিস্তিনিরা।

চলতি সপ্তাহের শনি ও রোববার রাফাহ ক্রসিং এলাকায় ফের বোমা বর্ষণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই হামলায় গাজা উপত্যকা থেকে মিসরের উদ্দেশে রওনা হওয়া একটি অ্যাম্বুলেন্স ধ্বংস হয় এবং সেই অ্যাম্বুলেন্সের চালক, রোগী ও তার আত্মীয়স্বজন নিহত হন।

তারপরও অবশ্য সোম ও মঙ্গলবার খোলা ছিল রাফাহ ক্রসিং; কিন্তু মঙ্গলবার থেকে ফের বন্ধ গাজার ‘লাইফ লাইন’।

সূত্র : রয়টার্স

শেয়ার করুন

আরো
© All rights reserved © arabbanglatv

Developer Design Host BD