শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের মজুরি পুনর্নির্ধারণে সচেষ্ট রয়েছে সরকার।
বুধবার (০১ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের প্রশ্নের জবাবে মন্নুজান সুফিয়ান এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের প্রশ্নের জবাবে বর্তমানে তৈরি পোশাক খাতে ন্যূনতম মজুরি পুনর্নির্ধারণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে উল্লেখ করে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ২০১৮ সালে ৫৩০০ টাকা হতে বাড়িয়ে ৮০০০ টাকা করা হয়েছে। যথাসময়ে মজুরি পুনর্নির্ধারণে মন্ত্রণালয় সচেষ্ট রয়েছে।
শফিকুল ইসলাম শিমুলের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, বর্তমানে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে। এছাড়া, সার্কভুক্ত ভারত, পাকিস্তান, ভুটান, আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে এবং নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের সঙ্গে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে।
মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী চীনের সঙ্গে ১৫ হাজার ৪৮৮ দশমিক ৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ভারতের সঙ্গে সাত হাজার ১৬০ দশমিক ৮১ মিলিয়ন, আফগানিস্তানের সঙ্গে ১ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন, ভুটানের সঙ্গে ১৪ দশমিক ২৯ মিলিয়ন ও পাকিস্তানের সঙ্গে ৪৬৬ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে।
নেপালের সঙ্গে ৪১ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন, মালদ্বীপের সঙ্গে ৩ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ৯ দশমিক শূন্য ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে চীন ৮ হাজার ৯৩০টি পণ্য অর্থাৎ ৯৮ শতাংশ পণ্যে শুল্ক মুক্ত প্রবেশ সুবিধা দিয়েছে। তবে, বর্তমান চীনে অধিক মূল্য সংযোজিত পণ্যের চাহিদার বৃদ্ধি, পণ্যের মান ও কমপ্লায়েন্স প্রতিপালনে কঠোরতা ও কোভিডের কারণে চীনের ব্যবসায়ীদের সােেথোগাযেগ প্রতিবন্ধকতার কারণে আশানুরুপভাবে রপ্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছে না।
মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, গত ১৫ বছরে রপ্তানি আয়ের গড় প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ২৭ শতাংশ। ২০০৮-৯ অর্থ বছরে রপ্তানি আয় ছিল ১৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সেটা বেড়ে দায়িছে ৬৩ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলারে। অর্থাৎ ১৫ বছরে মোট প্রবৃদ্ধি ৩০৫ শতাংশ।